হোয়াইট সোয়ান ফাউন্ডেশন ফর মেন্টাল হেল্থ একটি নন্-প্রফিট প্রতিষ্ঠান এবং এটি মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ আর প্রকাশিত করে। আমাদের লক্ষ্য হল রোগী, পরিচর্যাকারী এবং গোষ্ঠীগুলির কাছে গবেষণা সমৃদ্ধ তথ্য এবং বিশ্লেষণ পৌঁছে দেওয়া যাতে তারা মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার মোকাবিলা করার বিষয়ে জ্ঞানসমৃদ্ধ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
দুনিয়া জুড়ে যারা এ বিষয়ে কাজ করছেন, হোয়াইট সোয়ান ফাউন্ডেশনের টিম সেই সব মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি, সমান চিন্তাধারার ব্যক্তিবিশেষ এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে অত্যুৎকৃষ্ট মানের তথ্যাদি আপনার নাগালে এনে দেয়।
“মানসিক স্বাস্থ্য এবং জীবনকুশলতার জন্য মানুষকে প্রয়োজনীয় জ্ঞান সরবরাহ করা।”
হোয়াইট সোয়ান ফাউন্ডেশন ফর মেন্টাল হেল্থ মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে কাজ করে। আমাদের লক্ষ্য ভালোভাবে গবেষণা করে তৈরি করা বিষয়বস্তু বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমাদের কাজ এবং সম্পাদকীয় নীতির বিষয়ে আরও জানতে এই ভিডিওটি দেখুন।
একটি ধারাবাহিক অনুষ্ঠান যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে বোধশক্তি জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। এই সিরিজটিকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে যে জায়গাগুলি আমরা বিভিন্ন সম্প্রদায় হিসেবে দখল করি সেই সামাজিক এবং ব্যক্তিগত জায়গাগুলিতে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে আলোচনাকে সচল করা যায়। মুভিং মাইন্ড্জ অনুষ্ঠানগুলির ধরন নানারকমের যেমন ওয়েবিনার, গল্প বলা, প্যানেল ডিসকাশন, থিয়েটার এবং সঙ্গিত পরিবেশন।
আমরা কর্মক্ষেত্রের জন্য জ্ঞানভিত্তিক, সমবায়িক এবং কর্মীদের সমর্থন প্রাপ্ত উদ্যোগ তৈরি এবং পরিবেশন করি যাতে মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ইতিবাচক কাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে তাদের সাহায্য করা যায়। মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের বোধ থেকে আমরা জেনেছি যে কর্মক্ষেত্রে খোলামেলা এবং অন্তভুক্তি পরিবেশ থাকলে কর্মীদের এই পরিষেবার সুযোগ নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আরও জানুন (https://bengali.whiteswanfoundation.org/workplace) আমরা কাউন্সেলিং, পুনর্বাসন বা সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করি না।
National Institute of Mental Health and Neuro Sciences (NIMHANS)
Quintype
Twitter India
২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরুতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেল্থ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেস (নিমহ্যান্স)-এর প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘কি-নোট’ ভাষণ দিয়েছিলেন মাইন্ডট্রি লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান সুব্রত বাগচী। ভারতে মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যে সব সমস্যা আছে, সেগুলির মোকাবিলায় এ বিষয়ে যথাযথ ধারণা থাকা কতটা জরুরি, তিনি তার উপরে বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন যে সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল করতে উদ্যোগী হওয়ার প্রয়োজন যাতে তাঁরা মানসিক অসুস্থতার সঙ্গে সঠিক ভাবে লড়াই করতে সক্ষম হয়ে ওঠেন। এর পরে সুব্রত বাগচীর তত্ত্বাবধানে মনোজ চন্দ্রন ভারতে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার অবস্থা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সমীক্ষা করেন, কয়েকটি উন্নত দেশে এই বিষয়ে কতটা ভাল ব্যবস্থা আছে বা মানসিক অসুখ মোকাবিলার উপায় কতটা ভাল ভাবে জানা গেছে, সে বিষয়েও চর্চা করেন। নিমহ্যান্স-এর ডিরেক্টর তথা ভাইস চ্যান্সেলর ডা. পি সতীশচন্দ্র এবং এই প্রতিষ্ঠানের কয়েক জন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের অকুণ্ঠ সহযোগিতায় এবং দেশের নানা জায়গায় কর্মরত মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সমাজকর্মীদের পরামর্শে সমৃদ্ধ হয়ে আমরা হোয়াইট সোয়ান ফাউন্ডেশন ফর মেন্টাল হেল্থ তৈরি করি। ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ কম্পানিজ অ্যাক্ট-এর ২৫ ধারা মোতাবেক একটি নন্ প্রফিট প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি নথিভুক্ত হয়।
জানুন সুব্রত বাগচির সেই ব্যক্তিগত কাহিনী যা হোয়াইট সোয়ান ফাউন্ডেশনের জন্মের কারণ
সাদা রাজহাঁসটি ডান দিক থেকে বাঁ দিকে সাঁতার কাটছে। যে কোনও ছবিতে গতিশীল জিনিসকে সাধারণত বাঁ দিক থেকে ডান দিকে যেতে দেখানো হয়, এই ‘সবাই যা করে’ মানসিকতা থেকে নিজেকে স্বতন্ত্র করতে চায় আমাদের হোয়াইট সোয়ানটি। বস্তুত, সে কোনও ফর্ম বা আকৃতি নয়, তাকে বলা চলে একটি কাউন্টার-ফর্ম বা প্রতি-আকৃতি। আসলে কোনও আকার নেই, কোনও রং নেই, সে হল কেবল সাদা পরিসরটুকু। রাজহাঁসের রূপরেখা আর নীল আয়তক্ষেত্রটি দিয়ে তার এই প্রতি-আকৃতি তৈরি হয়েছে। আপনি যখন এটি দেখছেন, তখন আপনার মনই আসলে সাদা রাজহাঁসটির রূপ কল্পনা করে নিচ্ছে। কোমল এবং নম্র রাজহাঁসটি শুশ্রূষার একটি মুহূর্তকে ফুটিয়ে তুলছে। তার ভঙ্গিটি দেখলে আপনি যেন মনে মনে তার চার পাশে ছোট ছোট শিশুহংসগুলিকে কল্পনা করে নিতে পারেন, আর তার তুলে রাখা ডানা দুটি বুঝিয়ে দেয়, সে জলের উপরে মসৃণ ভাবে ভেসে চলেছে। বিশেষ নীল রংটি এবং বড় ও ছোট হরফের সমন্বয় দিয়ে আমরা একই সঙ্গে বোঝাতে চাইছি, আমাদের লক্ষ্য আমাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, আবার আমাদের কাছে কত সহজে পৌঁছে যাওয়া যায় এবং আমরা কতটা যত্নবান হতে চাই।
আমাদের প্রতীকটি তৈরি করেছেন রে+ কেশাভান । ব্র্যান্ড ইউনিয়ন-এর পুরস্কার বিজয়ী গ্রাফিক ডিজাইনার সুজাতা কেশাভান।