আসক্তির চিকিৎসা
ডায়বেটিস আর উচ্চ রক্তচাপের মতো আসক্তি এমন একটি রোগ পরিস্থিতি যা বারবার ফিরে আসে এবং এতে রোগীকে চিকিৎসা করাতে হয় এবং এমন ভাবে জীবনযাপন করতে হয় যাতে তার চিন্তা মাদক দ্রব্য থেকে সরে যায়।
বেশীরভাগ মানুষ ভাবেন যে চিকিৎসা শুরু করার কিছু দিনের মধ্যেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু সুস্থ হয়ে ওঠা অতটা সহজ না যেহেতু নেশা ছাড়ার পরে “উইথড্রয়াল সিম্পটমস” (নেশা না করা ফলে বিভিন্ন শারীরিক লক্ষণ) হতে পারে, নেশার জন্য তীব্র আকাঙ্ক্ষা অনুভব করতে পারেন এবং ব্যক্তি আবার নেশা করতে শুরু করতে পারেন। মনে রাখবেন, এটা শুধু ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভর করে না, আরও অনেকগুলো কারন রয়েছে যা আসক্তি মুক্ত হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণত, চিকিৎসা শুরু করা হয় “ডিটক্স” (বিষক্রিয়া নাশ) পদ্ধতি দিয়ে, যখন রোগী নেশা করা বন্ধ করে। এই সময় রোগী উইথড্রয়াল সিম্পটমস অনুভব করে। এই লক্ষণগুলো কম করার জন্য ডাক্তার ওষুধ দেন, যার কারনে রোগী লক্ষণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আবার নেশা করার ইচ্ছে অনুভব করে না।
ডাক্তার নানা ধরনের পরীক্ষা করেন, যেমন রোগী শারীরিক ভাবে কতটা সুস্থ? তার কোনও আঘাত আছে কি? অন্যান্য পরীক্ষা যেমন ইলেক্ট্রোএন্সেফালোগ্রাফি (ইইজি) বা ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাফি (ইসিজি) করা হতে পারে।
ডিটক্স আর পরীক্ষার পরে ব্যক্তির কাউন্সেলিং বা থেরাপি করা হয় যার মূল উদ্দেশ্য হল ব্যক্তিকে নিজের স্বভাব পরিবর্তন করার প্রতি উৎসাহিত করা। কাউন্সেলার বোঝার চেষ্টা করেন যে ব্যক্তি কেন নেশা করেন, নেশা করার খারাপ ফলের বিষয়ে জানান এবং উনি নেশা করা বন্ধ করতে চান কি না, সেই বিষয়ে ওনাকে মনঃস্থির করতে সাহায্য করেন। যদি ব্যক্তি নেশা ছাড়তে চান, তাহলে কাউন্সেলার জানার চেষ্টা করেন যে উনি কি কি ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা করছেন, যেমন উইথড্রয়াল সিম্পটমস, সেগুলোর সাথে কীভাবে মোকাবিলা করবেন, যদি কেউ ওনাকে সিগারেট বা মদ খাওয়ার জন্য আমন্ত্রন জানায় তাহলে উনি কি করবেন। কাউন্সেলর রোগীকে তার আবেগ জনিত তাড়না বুঝতে সাহায্য করেন, যেমন হয়ত রোগী কিছু আবেগ জনিত সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নেশা করছেন।
রোগীকে তারপরে জানানো হয় তিনি কীভাবে নেশা করার ইচ্ছেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন – সতর্ক চিহ্ন চিনতে পারা, সেই সময় প্রতিকারের ধরন, আর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সাহায্য চাওয়ার বিষয়ে। রোগীকে বলা হয় তিনি যেন পরের এপোয়েন্টমেন্টগুলিতে উপস্থিত থাকেন যা পরিবারের সাথে এবং দলভিত্তিক ভাবে হয়, এবং আবার নেশা শুরু করার ইচ্ছেকে দমন করার জন্য দেওয়া ওষুধগুলো নিয়মিতভাবে খেতে থাকেন।
আসক্তিগ্রস্ত প্রিয়জনের পরিচর্যা
নিজের প্রিয়জনকে আসক্তির সাথে লড়াই করতে দেখা সত্যিই খুব কষ্টকর। আপনাকে ওনার মেজাজের হেরফের সামলাতে হয়, তারসাথে নিজের মধ্যে ঘুরতে থাকা অপরাধবোধ, লজ্জা আর ভয়ের সাথেও মোকাবিলা করতে হয়। সামাজিক কলঙ্ক একজন ব্যক্তিকে আরও কোণঠাসা করে রাখে, সে তার সমস্যা এবং কষ্টের কথা কাউকে জানাতে পারে না। সমস্যার সাথে কীভাবে মোকাবিলা করবেন, এটা না জানা থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়।
যদি আপনার সন্দেহ হয় যে আপনার প্রিয়জন কোনও ধরনের নেশা করছেন তাহলে আপনি এইগুলো করতে পারেন –
লক্ষণগুলি চিনতে শিখুন, এবং ওনার সাথে ওনার ব্যবহারের পরিবর্তন নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করুন। নাটকীয় বা হিংসাত্মক আচরণ করা অবধি অপেক্ষা করবেন না, তার আগেই সাহায্যের বিষয়ে ভাবুন।
সমস্যার বিষয়ে ভাল করেন জানুন। এতে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার প্রিয়জনের কষ্টের কথা এবং তাকে সাহায্য করার উপায় জানতে পারেন।
নেশা ছাড়াও যে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করা যায় সেই বিষয়ে ওনাকে আশ্বাস দিন। বলুন যে আপনি সব সময় ওনার পাশে রয়েছেন।
ধৈর্য রাখুন। অনেক সময় ব্যক্তি নিজে বুঝতে পারেন না যে তিনি আসক্ত এবং সেটা মেনে নিতে তার সময় লাগতে পারে।
তাকে বা নিজেকে এই পরিস্থিতির জন্য দোষারোপ করবেন না। অন্যান্য মানসিক রোগের মতো, এই সমস্যার শুধু একটি কারন হয় না। এর পেছনে অনেকগুলো পারিপার্শ্বিক এবং জিনগত কারন থাকে।
নেশা ছাড়ার জন্য তাকে উৎসাহিত করুন। দৃঢ়ভাবে বলুন, কিন্তু অযথা চাপ সৃষ্টি করবেন না।
পারিবারিক বা দলভিত্তিক থেরাপিতে ওনার সাথে যোগ দিন।
নিজের প্রিয়জনকে সুস্থ হতে সাহায্য করার সময় মনে রাখুন যে শুধু মনের জোর হলেই নেশা ছাড়া যায় না। নেশা শুধু আগ্রহের বিষয় না, আর আপনার প্রিয়জনকে হয়ত অনেক কষ্ট সহ্য করতে হতে পারে সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য।
আপনি যদি এইসব নিয়ে মানসিক চাপ অনুভব করেন তাহলে আপনিও কোনও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে নিজের বিষয়ে কথা বলুন।
আসক্তির সাথে লড়াই
আপনি যদি বুঝে গিয়ে থাকেন যে আপনার নেশা করার প্রবণতা রয়েছে, আর আপনি যদি তার জন্য সাহায্য নেওয়ার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আপনি সুস্থ হওয়ার প্রথম ধাপে পৌঁছে গিয়েছেন। নেশা না করাটা শুনতে হয়ত খুবই কঠিন লাগবে কিন্তু কিছু উপায় রয়েছে জাআর মাধ্যমে আপনি নিজেকে নেশার অভ্যাসের থেকে দূরে রাখতে পারেন।
ডাক্তারের সাথে কথা বলে বুঝে নিন যে আপনার সুস্থ হয়ে ওঠার পদ্ধতিটি কেমন হতে পারে। নিজের নেশা বা অভ্যাসের বিষয়ে কোনও কিছু ডাক্তার কাছে গোপন করবেন না। সব কথা ওনাকে খুলে বলুন যাতে উনি সঠিকভাবে রোগ নির্ধারণ করে চিকিৎসাপদ্ধতি নিশ্চিত করতে পারেন।
আকাশকুসুম প্রত্যাশা করবেন না। রাতারাতি পরিণাম পাওয়া সম্ভব নয়।
আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে সময় লাগে। প্রথমদিকে আপনার হয়ত কষ্ট হবে, কিন্তু হাল ছেড়ে দেবেন না।
মনে রাখবেন সবার সুস্থ হয়ে ওঠার গতিপথ সমান না। আপনি কত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন তা নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের নেশা করতেন, কতদিন ধরে নেশা করছেন, চিকিৎসাপদ্ধতি সঠিক ভাবে মেনে চলছেন কি না, আপনার শারীরিক আর মানসিক সুস্থতা ইত্যাদির ওপর।
উইথড্রয়াল সিম্পটমস নিয়ন্ত্রণ করা
আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলে বুঝে নিন আপনার কি কি ধরনের উইথড্রয়াল সিম্পটমস হতে পারে আর সেইগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আপনাকে কি করতে হবে। এমন কি কোনও ওষুধ আছে যা খেলে এইগুলো কম হবে? বা এমন কি অন্য কোনও সহযোগী ব্যবস্থা রয়েছে যা আপনি ব্যবহার করতে পারেন?
এমন পরিস্থিতিকে চিহ্নিত করুন যখন আপনার উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা হয় আর আপনি আবার নেশা করতে চান। কিছু ব্যক্তির জন্য এমন পার্টি বা সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়া সমস্যাপূর্ণ হয় যেখানে অন্যরা মদ বা সিগারেট খাচ্ছে। সেইসব পরিস্থিতি এড়িয়ে চলুন।
যখন আপনি সিগারেট খাওয়া, মদ খাওয়া বা মাদক দ্রব্য নেওয়া বন্ধ করে দেবেন, এমন অনেকবার হবে যখন আপনার মনে যে শুধু এক টান সিগারেট খাবেন, বা এক চুমুক মদ খাবেন বা একবার মাদক দ্রব্য নেবেন। সেই সময়ের কথা মাথায় রেখে আগে থেকে পরিকল্পনা করতে হবে যে এমন পরিস্থিতিতে আপনি কি করবেন। বেশীরভাগ সময় এই প্রবল ইচ্ছেটা ১০ থেকে ৩০ মিনিট অবধি থাকে। চেষ্টা করলে আপনি এই সময় ইচ্ছেটা দমন করতে পারবেন। যদি তাও বারবার আপনার মনে ঘুরে ফিরে নেশার কথাই আসে তাহলে এমন কোনও বন্ধু বা পরিবারের সদস্যের সাথে কথা বলুন যিনি আপনার চিকিতসাপদ্ধতির বিষয়ে ওয়াকিবহল।
কোনও নতুন শখ বা কাজ নিয়ে মেতে উঠুন। এতে আপনার মনে নেশা কথা বারবার ঘুরে-ফিরে আসবে না।
পুনর্বাসন জরুরী কেন?
আসক্তি একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং বারবার ফিরে আসা সমস্যা। যখন একজন ব্যক্তি নেশা করেন, মাদক দ্রব্যের প্রভাবে তার ব্রেনের সেই অংশগুলো প্রভাবিত হয় যা নির্ণয় ক্ষমতাকে সঞ্চালন করে। ওষুধের ব্যবহারে ব্যক্তি নেশা করার প্রবল ইচ্ছে আর উইথড্রয়াল সিম্পটমসকে নিয়ন্ত্রিত করতে পারে। তবে, শুধু নেশা করা সাময়িকভাবে ছেড়ে দেওয়া যথেষ্ট নয়, ব্যক্তি যেন আর সারাজীবন নেশা না করেন সেই জন্য পুনর্বাসন খুবই জরুরী।
পুনর্বাসনের মাধ্যমে ব্যক্তি সেইসব পরিস্থিতির সাথে মোকাবিলা করতে শেখেন যার কারনে তিনি নেশার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এতে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রিত করতে শেখানো হয়। এই চাপ আন্তরিক হতে পারে, যেমন আবেগ জনিত সমস্যা জাত জন্য ব্যক্তি মদ, সিগারেট বা ড্রাগ্স নিতে শুরু করেন, বা পারিপার্শ্বিক হতে পারে, যেমন অন্যদের সাথে, সামাজিক বা কাজ সংক্রান্ত সমস্যা।
নেশার জন্য অন্য অনেক ধরনের সমস্যা হয় যেমন নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া, পড়াশুনা বা কাজে ফাঁকি দেওয়া, মানসিক চাপ, কলঙ্কবোধ এবং চিন্তা। তাছাড়া, নিজের টাকা-পয়সা ঠিকভাবে সামলাতে না পারা, জুয়া খেলা, একঘেয়ে লাগা, জীবনে দিশা খুঁজে না পাওয়ার কারনেও ব্যক্তি আবার নেশা করতে শুরু করতে পারে।
পুনর্বাসনের উদ্দেশ্য হল ব্যক্তিকে এমন কিছু অস্ত্র দেওয়া যাতে সে এইধরনের সমস্যা আর পরিস্থিতির সাথে মোকাবিলা করতে পারে এবং একটি নতুন জীবনশৈলীর সূচনা করতে পারে যেখানে নেশা করা কোনও সমস্যার সমাধান নয়।
সাপোর্ট গ্রুপ কি এই ক্ষেত্রে কার্যকারী?
সাপোর্ট গ্রুপ একজন ব্যক্তিকে সুস্থ হয়ে উঠতে দারুণভাবে সাহায্য করতে পারে। ভারতে এমন প্রায়ই হয় যে সামাজিক কলঙ্কের জন্য ব্যক্তি নিজের বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়স্বজনদের সাথে নিজের সংঘর্ষের কথা আলোচনা করতে পারে না। সেই ক্ষেত্রে সাপোর্ট গ্রুপ আপনাকে সাহায্য করতে পারে নিজের আসক্তির সমস্যাকে মেনে নিতে। এতে আপনি এই আশ্বাসও পাবেন যে অন্যরা আপনাকে এই সমস্যা থাকা সত্ত্বেও মেনে নেবে আর দুর্বল বা খারাপ মানুষ হিসেবে আপনাকে বিচার করবে না। সাপোর্ট গ্রুপের সদস্যরা আপনার সমস্যার কথা অনেক বেশী বুঝবে তাদের তুলনায় যাদের নিজেদের কোনোদিন এইধরনের কোনও সমস্যা হয়নি।
অন্যদের সমস্যা আর লড়াইের কথা শুনে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি একা নন, আর এখনো আশা শেষ হয়ে যায়নি। আপনার সাপোর্ট গ্রুপে আপনাকে একজন বন্ধু বা পরামর্শদাতার সাথে আলাপ করিয়ে দেওয়া হতে পারে যে আপনাকে কঠিন সময়ে সাহায্য করতে পারবে।
আসক্তিকে ঘিরে ভুল ধারণা আর বাস্তব
ভুল ধারণা – নেশা ছেড়ে দেওয়া আর এমন কি বড় ব্যাপার। না করলেই তো হল।
বাঃ ছেড়ে দেওয়া তো খুব সহজ, কিন্তু ওর মধ্যে সেই মনের জোরটাই নেই।
বাস্তব – অনেকেই মনে করেন যে ইচ্ছে করলেই নেশা করা বন্ধ করে দেওয়া যায়। কিন্তু আসক্তি শুধু ইচ্ছাশক্তির জোরে ছেড়ে দেওয়া যায় না। যখন একজন ব্যক্তি নেশা করতে শুরু করেন, তার ব্রেনের সেই অংশটি প্রভাবিত হয় যা আমাদের নির্ণয় নেওয়ার ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে। আর তাই নেশা করব না, এই কথাটা বলা সহজ হয় না। হয়ত নেশা করবেন না এমন ভাবছেন কিন্তু যেই নেশা করার ইচ্ছে প্রবল হতে শুরু করবে বা উইথড্রয়াল সিম্পটমস দেখা দেবে, তখনই আবার নেশা করে ফেলবেন। নেশা ছাড়ার জন্য ব্যক্তির অনেক বেশী সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই জন্যই সঠিক চিকিৎসাপদ্ধতি হল ওষুধ আর থেরাপির মেলবন্ধন।
ভুল ধারণা – আমি নেশা করি আর আমি মনে করি যে আমি কখনো সম্পূর্ণভাবে নেশা করা বন্ধ করতে পারবনা।
বাস্তব – যদি আপনার মনে হয় যে আপনার সমস্যা রয়েছে তাহলে আপনি সুস্থ হওয়ার প্রথম ধাপে পৌঁছে গিয়েছেন। নেশা করা ছেড়ে দেওয়া মোটেই অসম্ভব নয়, এর জন্য শুধু প্রয়োজন একজন ভাল ডাক্তার আর আপনার পরিবার আর বন্ধুবান্ধবের সহযোগিতার। যদি আপনি বুঝতে পারেন যে নেশা করার জন্য আপনার জীবন কী কী সমস্যা হচ্ছে তাহলে আপনি সাহায্য চেয়ে নিন আর সুস্থ জীবনে ফিরে যান।
কলকাতার কিছু সংস্থা যারা নেশা ছাড়ানোর বিষয়ে কাজ করেন –
১। সেন্ট জোসেফস রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড রিলিফ সার্ভিসেস
১৫৪, মহাত্মা গান্ধী রোড, কলকাতা । ফোন +৯১ ৯০৫১৯০৫২৪২
২। প্রয়াস ডিএডিকশন সেন্টার
খরদাহ, উত্তরপাড়া। ফোন +৯১ ৯৮৩৬৭৬২৯৮৫
৩। বারাসত ফিনিক্স ফাউন্ডেশন
৪/১, ঘোলা কাছারি রোড, বঙ্কিম পল্লি, বারাসত।
ফোন +৯১ ৮০১৩৪১৪১১০
৪। দি ক্যালকাটা সমারিটান্স
৪৮, রিপন স্ট্রীট, কলকাতা। ফোন +৯১ ৩৩ ২২২৯৫৯২০
৫। কৃপা ফাউন্ডেশন
১৩৯/বি, রাসবিহারী এভিনিউ, কলকাতা।
ফোন +৯১ ৩৩ ২৪৬৪৩৮৩৬
এই তথ্য শুধু পাঠকদের সাহায্যার্থে দেওয়া হল। হোয়াইট সোয়ান ফাউন্ডেশন কোনও ভাবেই এই সংস্থাগুলির সাথে জড়িত না। পাঠকদের অনুরোধ করা হচ্ছে যেন তারা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তবেই নিজের বা প্রিয়জনের জন্য রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করেন।