ছোটবেলা থেকেই আমি বেশ নাদুসনুদুস, গোলগাল ধরনের ছিলাম। এর পিছনে আমার বংশগত প্রভাব ছিল। কিন্তু সেই সঙ্গে আমার পরিবারের কেউ স্বাস্থ্যকর খাবারদাবার খেত না এবং কায়িক পরিশ্রম করত না। এই অভ্যাসটা আমার ও আমার ভাইয়ের মধ্যেও গড়ে উঠেছিল।
বারো বছর বয়সে পৌঁছে প্রথমবার আমি নিজেকে দেখে খুব লজ্জা পেয়েছিলাম। অতিরিক্ত দৈহিক ওজনের জন্য আমি নিয়মিত আমার ক্লাসের অন্য বাচ্চাদের দ্বারা আক্রান্ত হতাম। আজ যখন আমি পিছন দিকে ফিরে তাকাই তখন আমার মনে হয় যে ওইসময়টায় সবকিছু স্বাভাবিক ছিল এবং এটা ভেবে আমি আশ্চর্য হয়ে যাই যে কীভাবে আমি আমার ক্লাসের বন্ধুদের মানসিক নির্যাতন সহ্য করতাম। সেখানে আরেকটা ঘটনাও ঘটেছিল। কারণ আমি আমার বয়ঃসন্ধিকালটা মানসিক অবসাদের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছিলাম। সেই সঙ্গে ছিল আমার বাড়ির লোকদের নির্যাতন। আমার আত্মনির্ভরতা তখন একেবারেই ভঙ্গুর অবস্থায় পৌঁছেছিল। বন্ধুদের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়া তো দূরের কথা! তার বদলে আমার কপালে জুটেছিল মানসিক ও শারীরিক আক্রমণ।
যখন আমার পনেরো বছর বয়স তখন আমার মধ্যে অবসাদ বেশ জাঁকিয়ে বাসা বেঁধেছিল। যত বড় হতে শুরু করেছিলাম তত চাপের মোকাবিলা করতে গিয়ে আমার মধ্যে খাওয়াদাওয়ার প্রতি আসক্তি ক্রমে বাড়তে লেগেছিল। এই পরিস্থিতিতে এমন ঘটনা ঘটাই স্বাভাবিক; আমার অভিভাবকরা ছিলেন খাদ্যরসিক এবং খাবুটে প্রকৃতির এবং আমার মধ্যেও ওই অভ্যাসটা গড়ে উঠেছিল। বন্ধু বলতে আমার তেমন কেউ ছিল না। কারণ আমার বাবার বদলির চাকরি হওয়ায় আমাদের সবসময়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলে যেতে হত। তাই আমার মনে দুঃখ, রাগ প্রভৃতি দলা পাকানো অবস্থায় থাকত এবং একমাত্র আরামের কথাই আমার কল্পনায় ঠাঁই পেত।
নিজের প্রতি একপ্রকার ঘৃণা নিয়ে আমি বেড়ে উঠেছিলাম। অন্যদের আক্রমণের ভয় থেকে আমার মধ্যে একটা ঠান্ডা এবং বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিত্বের বোধ গড়ে উঠেছিল। সেই সময়ে আমার মনে আছে আমার জীবনে একজনই ছিল যে আমায় সঠিক খাওয়াদাওয়া এবং কায়িক পরিশ্রম করার শিক্ষা দিয়েছিলেন। তখন আমার তেইশ বছর বয়স। সেটাই সম্ভবত একমাত্র সময় যখন আমার নিজেকে সুস্থ বলে মনে হয়েছিল। কাজের জায়গাতেও আমাকে অনেক আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছিল; আমার অতিরিক্ত ওজনের জন্য পুরুষরাও নানারকম মন্তব্য করত। এমনকী, যদি একটু ওজন বাড়ত তাহলেও আমায় নানারকম মন্তব্য শুনতে হত। আমার মনে হত যে মহিলাদের হেয় করার জন্য এটা পুরুষদের একটা খুব সহজ হাতিয়ার। যখনই একজন মহিলা যোগ্যতায় পুরুষের সমকক্ষ হয়ে উঠতে শুরু করে তখন মহিলাদের রূপ, সৌন্দর্য, দৈহিক গড়ন, শারীরিক ওজন প্রভৃতি একজন পুরুষের কাছে হাসির খোরাক হয়ে ওঠে।
আমার মনে আছে শারীরিক ওজনের জন্য আমি মহিলাদের দ্বারা যত না আক্রান্ত হয়েছি তার থেকে অনেক বেশি হয়েছি ছেলে বা পুরুষদের দ্বারা। আমি বুঝতে পেরেছি যে এর পিছনে থাকে লিঙ্গবৈষম্যের ধারণা। তাই যখন পুরুষদের হুমকির দ্বারা মহিলাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় তখন পুরুষদের কাছে সহজ রাস্তা হিসেবে মহিলাদের দৈহিক গড়নের উপর আক্রমণ করাই প্রধান হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের সমাজে একটি মেয়েকে ছোটবেলা থেকে বারবার বোঝানো হয় যে তার শরীরটাই একজন পুরুষের কাছে সবচাইতে আকাঙ্ক্ষার বস্তু। তাই মহিলাদের স্থূলতা নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করা তাদের আত্মনির্ভরতাকে একেবারে তলানিতে
পৌঁছে দেয়।
যখন আমার সাতাশ বছর বয়স তখন ওজন কমানোর জন্য আমি নিয়মিত শরীরচর্চা শুরু করি। দিনে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আমি কায়িক পরিশ্রম করতাম। সেই সময়ে আমার শরীরে আয়রনের অভাব দেখা দেয় এবং অতিরিক্ত ওজনের প্রলেপ পড়া বন্ধ হয়। সেই সময় আমি কোনও কাজ পাইনি, বেকার ছিলাম।
এরপর যখন আমি দিল্লি যাই তখন আমি অবসাদ ও উদ্বেগ দূর করার জন্য একজন অত্যন্ত সুদক্ষ থেরাপিস্টের দেখা পাই, যিনি আমায় নিজেকে শ্রদ্ধা করতে শিখিয়েছিলেন।
যখন আমি কলেজে পড়ি এবং যৌবনে পা দিয়েছি তখন দুটো পর্যায়ে আমার শারীরিক ওজন বাড়া-কমা চলেছিল। আজ আমার ওজন স্বাস্থ্যকর বিএমআই-এর থেকে কুড়ি কিলো বেশি। এবং এই ওজনই স্থায়ী হয়েছে। কিন্তু এখন আমার এনিয়ে আর কিছুই যায় আসে না। যে মুহূর্ত থেকে আমি কে- এই প্রশ্নটা আমার নিজের মধ্যে উঠেছে, নিজেকে চেনার, জানার চেষ্টা শুরু হয়েছে তখন থেকে আমি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছি এবং নিজের দৈহিক ওজন নিয়ে লজ্জা বোধ করা আপনা থেকেই উধাও হয়ে গিয়েছি। আমি আগে লক্ষ করেছিলাম আমার মধ্যে নিজের দৈহিক ভাবমূর্তি নিয়ে তখনই একমাত্র বেশি করে নিরাপত্তাহীনতার বোধ জাগত যখন এই বিষয়ে আমি অন্যদের দ্বারা আক্রান্ত হতাম।
মানুষ বারবার তার নিজের নিরাপত্তাহীনতা আর ভয়গুলোকে মনের সীমাবদ্ধতা দিয়ে পরীক্ষা করে প্রশমিত করতে চায়। কিছু নির্যাতনকারী ব্যক্তিত্ব থেরাপির সাহায্য নিতে চায় এবং অধিকাংশ মানুষ নিজের দুঃখ এবং লজ্জাকে ঢাকার জন্য অন্যের শরণাপন্ন হয়। আমি স্বীকার করছি যে অন্যদের সঙ্গে কথাবার্তা আমি কমিয়ে দিয়েছিলাম এবং অন্যের সাহায্য নিতে আমি অস্বস্তি বোধ করতাম।
এখন আমি পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করি শুধুমাত্র আমার ব্যক্তিত্ব এবং আত্মবিশ্বাস দিয়ে। একমাত্র রোগা মহিলাদেরই পুরুষরা পছন্দ করে ও আকাঙ্ক্ষা করে- এইরকম একটা বহুল প্রচলিত বিশ্বাস আমি ভুল বলেই মনে করি। কারণ সব লিকলিকে চেহারার মহিলাদেরই অনেক ঘৃণার মুখোমুখি হতে হয়। দৈহিক ভাবমূর্তিজনিত লজ্জা আসলে আমাদের সমাজের চোখে নিখুঁত হওয়ার ধারণার ফল, যা মূলত বিজ্ঞাপনের দ্বারা প্রভাবিত হয়। কিন্তু বাস্তব জীবনে সবসময়ে বিজ্ঞাপনের চিন্তা-ভাবনা আদৌ সত্যি হয় না।
সঠিক ওষুধ ও লাগাতার থেরাপির সাহায্যে আমি আমার মানসিক উদ্বেগ ও অবসাদের মোকাবিলা ভালোভাবেই করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এইভাবে আমি ক্রমশ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়েছিলাম, খাদ্যাভ্যাসের উন্নতি ঘটিয়েছিলাম এবং সুস্থ থাকার জন্য হালকা কায়িক পরিশ্রম করা শুরু করেছিলাম। তবে এটা ঠিক যে শারীরিক ওজন কমাটা একটা অতিরিক্ত সুবিধা এবং আমার এখনও মাঝে মাঝে নিজেকে দেখলে লজ্জা হয়। কিন্তু এই ভাবনাগত সমস্যাটিকে আমি এখন চিহ্নিত করতে পারি ও সমাধান করার জন্যও উদ্যোগী হই। আগে যখন আমার অতিরিক্ত স্থূলতার সমস্যা ছিল তখন সমস্যা সমাধান করার উদ্যোগ আমার মধ্যে দেখা দেয়নি। যদি আমি এখন আমার ওজন কমিয়ে ফেলি তাহলে তা কখনোই পুরুষের মনোরঞ্জন বা সমাজের ভালো লাগার জন্য করব না। যেহেতু আমি নানারকম পোশাক-আশাক পরতে ভালোবাসি, সাজগোজ বা ফ্যাশন পছন্দ করি সেহেতু আমি আমার দৈহিক ওজন কমানোর জন্য উদ্যোগী হব। কারণ এসবের জন্য ছিপছিপে হওয়াটা একান্ত জরুরি। ছিপিছিপে চেহারা ভিতর থেকে মানুষকে স্বাস্থ্যকর ও সক্রিয় থাকতে সাহায্য করে। তিরিশ বছর বয়সে পৌঁছে আমার শরীর খুব সাধারণভাবে জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলোকে যেমন- মদ্যপান, ভাজাভুজি বা মশলাদার খাবারদাবার এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার প্রত্যাখ্যান করতে শুরু করেছিল।
আমি এখনও ক্যামেরার লেন্সে নিজের ছবি দেখতে ভালোবাসি এবং মনে মনে আশা করি যে আমি যেন কলেজ জীবনের সুস্থতা আজও বজায় রাখতে পারি। কিন্তু এখন আমি বুঝেছি যে সুস্থতা মানে হল জীবনযাপন করার জন্য সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা এবং একজন মানুষের অর্ন্তনিহিত বোধগুলোর বিকাশ তার বাহ্যিক অবয়বের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। এসব বদল নিজের মধ্যে ঘটানোর জন্য আমি আমার কাজ ছেড়ে দিয়েছিলাম, পড়াশোনায় মন দিয়েছিলাম, থেরাপি করাতে যাচ্ছিলাম এবং ভালো মানুষের আশপাশে নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখেছিলাম। মিউনিসিপ্যালিটির ময়লাখানা বনাম ভার্সাই-য়ের সুসজ্জিত বাগান- এভাবেই আমি প্রায়শ নিজের দৈহিক গড়ন ও জীবনের তুলনা টানার চেষ্টা করতাম। জীবনকে আমি কী দিচ্ছি এবং জীবন কতটা আমার বশে রয়েছে বা নেই- এই চিন্তাও করতাম আমি। চাপজনিত খাওয়াদাওয়া বা ওজন হ্রাসের কারণ হল মানসিক ও বাহ্যিক জীবনের চাপ। সেই সঙ্গে এগুলো চিহ্নিত হয়নি এমন সমস্যার লক্ষণ বলেই বিবেচিত হয়। এভাবেই দৈহিক ভাবমূর্তিজনিত লজ্জা অতিরিক্ত ক্ষতিকারক হিসেবে দেখা দেয়। যে মানুষটা এমনিতেই খুব দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে এবং খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে সঠিক দিশা পাওয়ার চেষ্টা করছে তার উপর অতিরিক্ত লজ্জার বোঝা চাপিয়ে দিতে নিশ্চয়ই কেউ চাইবে না।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস কোনও কারণ ছাড়া এমনি-এমনি দৈহিক ভাবমূর্তিজনিত সমস্যা দেখা দেয় না। এর পিছনে থাকে পারিবারিক, কর্মক্ষেত্র, সামাজিক বা পরিবেশগত নানাবিধ চাপ। এর সঙ্গে যুক্ত হয় আমাদের সমাজে সৌন্দর্যের আকাঙ্ক্ষা এবং পুরুষতন্ত্রের চাহিদা। যে মুহূর্তে আমি পুরুষতন্ত্রের চাদিহা অগ্রাহ্য করতে শুরু করেছি এবং থেরাপির সাহায্য নিয়েছি, নারীবাদী মানসিকতায় বিশ্বাসী হয়েছি এবং বারবার আমার নিজের মধ্যে ওঠা নানারকম প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি ও রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণায় অনেক নমনীয়তা আনার জন্য উদ্যোগী হয়েছি সেই মুহূর্ত থেকে আমার জীবনদর্শন এবং পারস্পরিক সম্পর্কগুলোর ভিত্তি পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে। আজ আমি বলতে পারি যে আমি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ার জন্য কাজ করছি এবং জীবনকে ইতিবাচক করার জন্য নিয়মিত একটি রুটিন মেনে জীবনযাপন করার চেষ্টা করছি।
মানুষের শরীরটা একান্তভাবে তার নিজস্ব, ব্যক্তিগত একটি বিষয়। এবং সেজন্য অন্য কেউই তার নিজের স্বাছন্দ্যের জন্য কোনও মানুষকে জোর করে রূপবান বা সুন্দর করে তুলতে পারে না। বা তাকে সুন্দর হওয়ার জন্য বাধ্য করতে পারে না। যখন কাউকে কায়িক পরিশ্রম বা শরীরচর্চা করতে দেখা যায় তখন অন্য আরেকজন তাকে উৎসাহিত করতে পারে এবং তার কাজের প্রশংসা করতে পারে। রোগা মানুষদের ক্ষেত্রে অবশ্য এধরনের পৃষ্ঠপোষকতা বড় একটা চোখে পড়ে না। আমি দেখেছি মানুষ যোগব্যায়ামের শিক্ষকের কাছে এমন একজনের প্রশংসা করছে যে নাকি খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য তার শারীরিক ওজন হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে। এগুলো হল একধরনের মাদকতা বা পাগলামি, যার বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রতিবাদ করা জরুরি। ''আমি তোমার শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে খুবই চিন্তাগ্রস্ত রয়েছি। তোমার ওজন কমানো একান্ত প্রয়োজন''- এইধরনের মন্তব্যগুলোকে তেমন গুরুত্ব না দেওয়াই বাঞ্ছনীয়। কারোর শরীরের ওজনের সঙ্গে তার স্বাস্থ্যের তেমন যোগাযোগ থাকে না। এমন প্রচুর লিকলিকে চেহারার মডেল রয়েছে যাদের শরীরের ফ্যাট রেশিও বা মেদের পরিমাণ একজন অতিরিক্ত ওজনবিশিষ্ট মানুষের চাইতে অনেক বেশি। বিএমআই-এর ধারণাও ভ্রান্ত। কারণ সেখানে পেশির ওজন ধার্য করা হয় না।
যখন অন্য কারোর দৈহিক ওজন আমাদের লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখন এটাই ভাবা যথাযথ যে ওই লজ্জা বা সমস্যা আদৌ আমাদের নয়। বরং কোনটা আদর্শ হওয়া উচিত সে সম্পর্কে ওই মানুষটিরই সঠিক ধারণা নেই। এইধরনের মানুষের চিন্তাভাবনায় বদল আনতে গেলে সবচাইতে সহজ রাস্তা হল তাদেরকে বোঝানো যে কারোর শরীরের অস্বাভাবিকতা বা ভিন্নতা মোটেই মজার বিষয় নয়। এমনকী, এই বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কোনও নিশ্চিত মতামত জানার চেষ্টা করাও উচিত নয় বা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার সীমা সম্পর্কেও তাদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করাই শ্রেয়।
প্রবন্ধটির লেখকের নাম তাঁর ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য গোপন রাখা হয়েছে।
এই রচনাটি দৈহিক ভাবমূর্তি এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রবন্ধের অর্ন্তগত। এই বিষয়ে আলাপ-আলোচনার জন্য টুইটারে #ReclaimOurselves এবং ফেসবুক পেজের সাহায্য নেওয়া যাবে।