ভুল ধারণা: সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত সব শিশুরাই মানসিক প্রতিবন্ধী।
বাস্তব: সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে মাত্র ৫০% শিশুরা বুদ্ধিগত প্রতিবন্ধকতার শিকার। উপরন্তু কিছু শিশু সাধারণের চেয়ে অনেক গুণ বেশি বুদ্ধিসম্পন্ন হয়।
ভুল ধারণা: সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত শিশুরা স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারে না এবং অন্যদের কথা বা নির্দেশ বুঝতে পারে না।
বাস্তব: যদিও সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত শিশুরা অনেক সময়ই স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারে না, কিন্তু তারা অন্যদের বলা কথা বা দেওয়া নির্দেশ সঠিকভাবে বুঝতে এবং অনুসরণ করতে পারে। সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত বেশিরভাগ শিশু অন্যদের মতই বুদ্ধিদীপ্ত হয়।
ভুল ধারণা: সেরিব্রাল পলসি ছোঁয়াচে রোগ।
বাস্তব: সেরিব্রাল পলসি একেবারেই ছোঁয়াচে রোগ নয়।
ভুল ধারণা: সেরিব্রাল পলসি বেশি বয়সে হয় না।
বাস্তব: সংক্রামক রোগ, যেমন মেনিনজাইটিস বা এঙ্কেফেলাইটিস ইত্যাদির মস্তিষ্কের ওপর প্রভাবে বা মাথায় আঘাত পাওয়ার জন্য বেশি বয়সেও সেরিব্রাল পলসি হতে পারে।
ভুল ধারণা: সেরিব্রাল পলসি চিকিৎসায় সেরে যায়।
বাস্তব: সেরিব্রাল পলসি চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো বা কমানো যায় না, যেহেতু এটা মস্তিষ্কে আঘাত বা ক্ষতির জন্য হয়। মস্তিষ্কের ক্ষয়ক্ষতির চিকিৎসা করা হয় কিন্তু মস্তিষ্কের যতটা কার্যক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেটা অপরিবর্তনীয়। এই ক্ষেত্রে ব্যাধির উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে রেখে শিশুকে যথাসম্ভব আত্মনির্ভর এবং স্বাধীনভাবে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে শেখানোটাই বিশেষজ্ঞদের প্রধান লক্ষ্য।
ভুল ধারণা: সেরিব্রাল পলসির সময়ের সাথে সাথে অবনতি হয়।
বাস্তব: সেরিব্রাল পলসি সময়ের সাথে সাথে বাড়ে না। অবস্থার অবনতিও হয় না। মস্তিষ্কের ক্ষয় ক্ষতি এ ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পায় না। তবে উপসর্গগুলোর সম্পূর্ণ বহিঃপ্রকাশ ঘটতে সময় লাগতে পারে এবং মানসিক বিকাশে সময় লাগতে পারে।
ভুল ধারণা: জন্মের সময় পাওয়া আঘাতে সেরিব্রাল পলসি হয়।
বাস্তব: সেরিব্রাল পলসি জন্মের সময় পাওয়া আঘাতে বা জন্মগত ত্রুটির জন্য হতে পারে। প্রসবকালীন জটিলতার জন্য নবজাতকের মস্তিষ্কে যদি অক্সিজেনের অভাব ঘটে, তাহলে শিশুটির মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। জন্মগত ত্রুটি গর্ভাবস্থায় মায়ের সংক্রামক রোগ বা জিনগত বিকৃতির জন্য হয়। জন্মগত সেরিব্রাল পলসি জন্মের আগে বা জন্মের সময়ে হওয়া মস্তিষ্কের ক্ষতির জন্য হয়।