মাতৃত্ব

গর্ভাবস্থায় উদ্বিগ্নতা

হোয়াইট সোয়ান ফাউন্ডেশন

গর্ভে সন্তান থাকাকালীন দুশ্চিন্তা হওয়াটা স্বাভাবিক। কি খাবেন, কি খাবেন না বা কি করবেন, কি করবেন না নিয়ে সব মায়েরাই কম বেশি মাথা ঘামান। এটা এমনই একটা সময় যখন আপনি একই সাথে আনন্দে এবং আতঙ্কে রাত কাটাতে পারেন। কিন্তু তার ফলে যদি দৈনন্দিন জীবন বিপর্যস্ত হতে শুরু করে তাহলে বুঝতে হবে যে আপনি অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারে ভুগছেন। এর কিছু লক্ষণ নিচে দেওয়া হল:

  • ক্রমাগত দুশ্চিন্তা

  • সবসময় অস্থির মনোভাব

  • চরম আতঙ্ক

  • কিছুতেই শান্ত না থাকতে পারা

  • রাত্রে ঘুম না আসা

আপনার যদি মনে হয় যে আপনি অকারণে চিন্তা করছেন বা উপরোক্ত লক্ষণগুলি আপনার মধ্যে প্রকাশ পাচ্ছে তাহলে অবিলম্বে একজন মনোবিদের সাহায্য নিন। এই ব্যপারে আপনি আপনার জীবনসঙ্গী বা পরিবারের লোকের সাহায্য চাইতে পারেন।

যেহেতু গর্ভাবস্থায় একজন মহিলার নানা রকম শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে, তাই তাঁদের ডিপ্রেশন বা অ্যাংজাইটিতে ভোগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনেক মহিলাই এই পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেন। কিন্তু কেউ কেউ সেটা পারেন না। তাছাড়া নিম্নলিখিত কারণগুলির জন্যেও একজন মহিলা গর্ভাবস্থায় অ্যাংজাইটিতে ভুগতে পারেন:

  • আগে অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারে ভুগেছেন

  • পারিবারিক রোগের ইতিহাস

  • পূর্ববর্তী খারাপ অভিজ্ঞতা

  • ঘরে বাইরে মিলিয়ে অত্যধিক কাজের চাপ

স্বাভাবিকঅ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারের সম্ভাবনা
সন্তানের স্বাস্থ্য, ভবিষ্যৎ এবং আর্থিক খরচ ইত্যাদি নিয়ে চিন্তাএই চিন্তার ফলে দৈনিক জীবনযাপন বিপর্যস্ত হয়ে যাবার পাশাপাশি আতঙ্কে ভুগতে শুরু করা
রাত্রে ঘুম না হবার কারণে শারীরিক কষ্টক্রমাগত দুশ্চিন্তার কারণে ক্লান্তি এবং মাংসপেশিতে খিঁচ ধরা

চিকিৎসা

উপসর্গ বা সমস্যা যদি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে না হয় তাহলে মানসিক ভাবে সেই মহিলার পাশে দাঁড়ানো এবং কগ্নিটিভ বিহেভিওরাল থেরাপি অথবা ইন্টার পার্সোনাল থেরাপির মত চিকিৎসাই যথেষ্ট। কিন্তু বাড়াবাড়ি হলে সামান্য ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। আপনার চিকিৎসক আপনাকে এমন ওষুধই দেবেন যার সুফল বেশী কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। (শুধুমাত্র দরকার হলে খুব সামান্য মাত্রায় খাওয়ার প্রয়োজন হয়)।