একজন মনোরোগী হওয়া সত্ত্বেও একজন মহিলা খুব সহজেই মাতৃত্বের পরিকল্পনা করতে পারেন যদি তিনি আগাম প্রস্ততি নেন। এই সময় মহিলার পরিবারের সদস্য এবং তাঁর স্বামী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। তাঁরা,
- একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের থেকে তাঁর ওষুধ খাওয়ার নিয়মাবলী জেনে নিতে পারেন।
- আশেপাশে সবাইকে অসুখ সম্বন্ধে বোঝাতে পারেন যাতে মায়ের কোনও রকমের সমস্যা না হয়।
- গর্ভাবস্থায় যদি কোনও মানসিক বিকার দেখা দেয় তাহলে তার জন্য সেই মাকে দায়ী করা উচিৎ না। শারীরিক অসুস্থতার মতই মানসিক রোগের ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
- মানসিক রোগগ্রস্ত না হলেও গর্ভাবস্থায় দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ এবং মুড সুইং খুবই সাধারণ ঘটনা।
- মহিলা যাতে কোনও রকম সাংসারিক অশান্তির শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে পারেন।
- মানসিক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। তাই চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করে সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া উচিৎ। তাঁর পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বন্ধ করা যাবে না।
- তাঁর আচার-আচরণের মধ্যে কোনও বিপদ-সংকেত পাচ্ছেন কিনা তা লক্ষ্য রাখুন।
একজন মনোরোগীর যত্ন নেওয়া ক্লান্তিকর হতে পারে। তাই নিজের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা একজন কাউন্সেলরের সাথে কথা বলা উচিৎ।