প্রোফেসর বিক্রম পটেল সেই চারজন ভারতীয়দের মধ্যে একজন যার নাম টাইম ম্যাগাজিন মনোনীত করেছেন পৃথিবীর প্রথম ১০০ প্রভাবশালী মানুষদের মধ্যে। গোওয়া’র একটি এনজিও যার নাম সঙ্গথ এবং লন্ডনের ‘স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের সেন্টার ফর গ্লোবাল মেন্টাল হেল্থ’এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা হওয়ার দরুন তিনি মানসিক সুস্থতার ধারণা সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী একটি পরিবর্তন আনতে পেরেছেন।
ভারতের একদম তৃণমূল স্তরে, মানুষজনকে তিনি শেখানোর চেষ্টা করেছেন কেন মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা প্রয়োজন। এবং সাধারণ মানুষদের কম-খরছে প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন কিভাবে অবসাদ বা স্কিৎজোফ্রেনিয়ার মতো সমস্যার সাথে লড়াই করা যেতে পারে। তাঁর লেখা বই “হোয়ার দেয়ার ইজ নো সাইকিয়াট্রিস্ট” সে সকল মানুষদের কথা মাথায় রেখে লেখা যাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে কাজ করার কোন অভিজ্ঞতা নেই। এই বইটি উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বেশ জনপ্রিয়।
এছাড়া তিনি 'মুভমেন্ট ফর গ্লোবাল মেন্টাল হেল্থ’এর প্রতিষ্ঠাতা, যেখানে পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন পেশাদার মানুষেরা একসাথে এগিয়ে এসেছে মানসিক সুস্থতা কে সমর্থন করতে এবং মানসিক ভাবে অসুস্থ ব্যাক্তিদের অধিকার ও জীবনযাত্রাকে উন্নত করতে। তাঁর এই সাফল্যের কারণ তাঁর সকলের সাথে যথার্থ ভাবে যোগাযোগ করার ক্ষমতা।
তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য, আরও বেশি মানুষজনের কাছে মানসিক রোগের চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া। যে সংখ্যক মানুষ চিকিৎসা পান আর যে সংখ্যক মানুষ চিকিৎসা পান না তার ব্যাবধানটি অনেক বড়। ভারতের মতো দেশে যেখানে মনোবীদের সঙ্গে মানসিক রোগীর অনুপাতটি অনেক বেশি এবং যেখানে গ্রাম্য এলাকায় কোন মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রই নেই, সে দেশে বিক্রম পটেলের মতো একজন কাউকে পেয়ে আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান, যিনি জোয়ারের বিপরীতে নিজের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।