বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) মানসিক স্বাস্থ্যকে এইভাবে ব্যাখ্যা করেছে - “মানসিক স্বাস্থ্য হল কুশলতার একটি স্তর যে স্তরে কোনো ব্যক্তি তার নিজস্ব ক্ষমতাকে সম্পূর্ণ উপলব্ধি করতে পারে, জীবনের স্বাভাবিক উদ্বেগের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে, ফলদায়ক ও ফলপ্রসুভাবে কাজ করতে পারে এবং তার গোষ্ঠীতে অবদান রাখতে সক্ষম হয়।”
বিস্তারিত ভাবে বললে এটি অনুভূতি এবং ভাবনা সহ ব্যক্তির মানসিক অবস্থার কথা জানায়। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে, এবং যে সামাজিক অবস্থানে আমরা বিচরণ করছি, সেখানে আমরা কীভাবে আচরণ করছি তাকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে এগুলির ভূমিকা রয়েছে।
ভাবনা বলতে আমাদের বুদ্ধিগম্য ক্রিয়াকলাপগুলিকে বোঝায়, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন মানসিক ক্ষমতা, যেমন, একটি নতুন ধারণাকে শেখা, বিচারশক্তি ব্যবহার করা, তথ্যাবলী স্মরণ করা এবং মনে ধরে রাখা, সমস্যা-সমাধান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা সহ মনোযোগের ক্ষমতা।
মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থান একটি বর্ণালী জুড়ে। শারীরিকভাবে ঠিক যেমনটি হয়ে থাকে তেমনি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যও কখনও ভালো আবার কখনও খারাপ হতে পারে। কোনো অবস্থাটাই নিশ্চল নয়। সময়ের নিরিখে আমরা কোন অবস্থার মধ্যে রয়েছি সেটি নির্ভর করে বিভিন্ন কারণের উপরে যা আমাদের ভাবনা চিন্তা এবং অনুভূতির উপরে প্রভাব বিস্তার করে এবং তার ফলে আমরা সেইভাবে আচরণ করে থাকি।
নিজের মানসিক স্বাস্থ্যকে যাচাই করে দেখা
কোন একটি সময়ে আপনি বর্ণালীর কোন বিন্দুতে রয়েছেন তা জানার জন্য আপনি নিজেকে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলি জিজ্ঞাসা করতে পারেনঃ
আমি জীবনের উদ্বেগগুলির সাথে ভালোভাবে মানিয়ে নিতে কতটা সক্ষম?
আমি আমার প্রত্যহিক কাজকর্মগুলিকে কতটা ভালোভাবে পালন করতে সক্ষম?
আমি অন্যদের সাথে কত ভালোভাবে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে সক্ষম?
টিকে থাকা এবং উন্নতি করার মধ্যে আমি কোন অবস্থাতে রয়েছি?
এই সমস্ত প্রশ্নগুলিকে বিবেচনা করার সময় মনে রাখবেন যে এগুলির প্রকৃতি বিষয়গত। যখন এই প্রশ্নগুলির মাধ্যমে আপনি আপনার মূল্যায়ন করছেন তখন মাথায় রাখতে হবে যে কোনো কাজ আপনি কতটা ভালোভাবে অথবা খারাপভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম সেটি অবশ্যই নির্ধারিত হবে আপনার ক্রিয়াশীলতার স্বাভাবিক স্তরের তুলনায়।