স্থিতিস্থাপকতা শব্দটি আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া বা প্রতিকূল পরিবেশের বিরুদ্ধে ভালোভাবে মোকাবিলা করা বোঝাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিছু মানুষের মধ্যে এই স্থিতিস্থাপকতার দক্ষতা থাকে বলে তারা স্বাভাবিকভাবে ইতিবাচক মানসিকতার হয় এবং প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। এই দক্ষতা অর্জন করার শিক্ষা আমাদের সবারই থাকা প্রয়োজন। নীচে ১০টা উপায় বলা হল যার সাহায্যে একজন মানুষ তার মানসিক স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তুলতে পারে।
১. নিজেকে সযত্নে লালন-পালন করা: নিয়মিত শরীরচর্চা করে নিজের যত্ন নেওয়া দরকার। এর সঙ্গে জরুরি ভারসাম্যযুক্ত খাওয়াদাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম, নেশার দ্রব্য থেকে দূরে থাকা, নিজের শখের কাজগুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়া। নিজের চাওয়া-পাওয়াগুলোকে মূল্য দিয়ে সুস্থ হওয়ার বোধকে জাগিয়ে তোলাও দরকার। এছাড়া প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি অর্জন করা প্রয়োজন।
২. পরিবর্তনকে মেনে নেওয়া: পারিপার্শ্বিক চাপ ও প্রতিবন্ধকতাকে জীবনের শিক্ষা ও বিকশিত হওয়ার সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা জরুরি।
৩. নিজের যোগ্যতার প্রতি ইতিবাচক বিশ্বাস রাখা: নিজের প্রতি সচেতন বিশ্বাস গড়ে তোলা এবং এর সাহায্যে সব সমস্যার সমাধান করা। নিজের ভালো গুণ, শক্তি এবং ক্ষমতার কথা মনে রাখা।
৪. মানুষের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলা: এমন মানুষের সাহচর্য এবং সমর্থন আদায় করতে হবে যারা জীবনের প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং বিপদের সময়ে পাশে থেকে সাহায্য করে।
৫. সমস্যা সমাধানের দক্ষতার বিকাশ ঘটানো: কোন কাজ করলে ভালো থাকা যায় তা চিহ্নিত করা জরুরি। মানসিক প্রাণোচ্ছ্বলতার বিকাশের জন্য সম্ভাব্য উপায়গুলোর সন্ধান করা।
৬. বিপর্যয়ের সময়ে অন্যের সাহায্য খোঁজা: বিশ্বাসভাজন কারোর থেকে বিপদের সময়ে সাহায্য নেওয়া প্রয়োজন। কাউন্সেলিং বা থেরাপি মানসিক স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলার অন্যতম উপায়।
৭. আত্ম-সচেতন হয়ে ওঠা: নিজের চিন্তা ও অনুভূতির দিকে বেশি নজর দেওয়া। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা। ব্যক্তিগত দিনলিপি লেখার অভ্যাস করা।
৮. বাস্তবসম্মত লক্ষ্য স্থির করা: পরিস্থিতিকে বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করা। সমস্যা সমাধানের জন্য যুক্তিপূর্ণ লক্ষ্য স্থির করা।
৯. সমস্যা সমাধানের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া: সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
১০. জীবনের উদ্দেশ্য সন্ধান করা: জীবনের উদ্দেশ্য সঠিক থাকলে প্রতিকূলতা, বেদনা, বিপদ বা দুঃখ জয় করা যায়। কার্যকারণ দেখে কাজ করা, গোষ্ঠীভুক্ত হয়ে থাকা, আধ্যাত্মিকতার চর্চা করা, অর্থবহ কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করা জরুরি।