“একজন ব্যক্তির প্রশান্তির ওপর নির্ভরশীল তাঁর সাফল্য, প্রভাব এবং শুভশক্তির গুণমান” বলেছিলেন ব্রিটিশ প্রবন্ধকার জেমস অ্যালেন। “মানসিক প্রশান্তি জ্ঞানের অন্যতম রত্ন।” এক শতকেরও বেশি আগে লেখা এই কথাগুলি আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিক। একজন বিজনেস ম্যানেজার থেকে দার্শনিক হওয়া অ্যালেন ছিলেন খুবই সংবেদনশীল মানুষ। তিনি দৈনন্দিন জীবনে প্রশান্তি বা সহিষ্ণুতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন। তাঁর মতে, “লোকেরা এমন ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক রাখতে পছন্দ করেন যার ব্যবহার সব সময় সমান।” কিন্তু এতদিন সমাজ বিজ্ঞানীদের গবেষণায় মানুষের দক্ষতা বিচারে ইতিবাচক মেজাজের বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি। ইদানীং কালে বিষয়টি নিয়ে অন্যভাবে ভাবা হচ্ছে। এখন মেনে নেওয়া হয়েছে যে একজন মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে আত্মনিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
চিকিৎসাশাস্ত্রের গবেষণায় প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে, মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা জড়িত। যেমন- ক্রনিক ডিপ্রেশন বা উদ্বেগ, অবসাদ এবং আসক্তি। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ভালো থাকার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। আর আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব হলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, মানুষ দু'ভাবে আত্মনিয়ন্ত্রণ করে। দু'টিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, নেতিবাচক মনোভাবগুলি দূর করে, যেমন- রাগ, দুঃখ এবং বিরক্তি কমিয়ে খুশি থাকার চেষ্টা করা। অন্যদিকে, দ্বিতীয় প্রকারটি হল- নিজেদের সৃষ্টির ক্ষমতা, অস্তিত্ব বজায় রাখার সক্ষমতা এবং খুশির মুহূর্তকে বড় করে দেখার মধ্য দিয়ে মানুষ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। যেহেতু মনোবিদরা অনেক বেশী ওয়াকিবহল যে একজন ব্যক্তির মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব অনেক বেশী সক্রিয় তাই আমি ভারত এবং অন্যান্য দেশের আমার সহকর্মীদের সাথে একটি গবেষণা করছি যে কীভাবে মানুষের আনন্দের স্মৃতি মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
নিজেকে ছন্দে ফেলা -
মানুষ কীভাবে সুন্দর মেজাজ তৈরি করতে পারে, তা মনস্তাত্ত্বিক বিদ্যার একটি নতুন দিক। অধিকাংশ গবেষণা গত ২০ বছরের মধ্যে করা হয়েছে এবং শিশুদের এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার বাইরে রাখা হয়েছিল। হয়ত এর কারণ এই যা শিশুদের মেজাজ-মর্জির বিষয়টি মূলত স্বল্পমেয়াদি পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল। আমরা জানি যে, বাবা-মায়েদের হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে বাচ্চারা তাদের অনুভূতিগুলি মোকাবিলা করার চেষ্টা করে। শিশুরা কাছের মানুষের ভালোবাসা পছন্দ করে। আর এভাবেই তাদের মনে স্বস্তিদায়ক অনুভূতির জন্ম হয়।
শিশুদের সুন্দর মেজাজ গঠনের পিছনে থাকে তাদের পারিবারিক জীবনে শান্তি, স্বস্তির পরিবেশ। আরবানার ইলিওনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডঃ রিড লার্সন দেখিয়েছিলেন যে, বয়ঃসন্ধির আগের পর্যায়ের মানুষের মধ্যে অধিকাংশ সময়ে আনন্দের অনুভূতি প্রকাশ পায়। মাঝে-মাঝে তাদের মন, মেজাজ খারাপ হতে দেখা যায় খুব অল্প সময়ের জন্য। এর পিছনে থাকে খেলায় হেরে যাওয়া বা শৃঙ্খলা ভাঙার জন্য বাবা-মায়ের কাছে বকুনি খাওয়ার মতো ঘটনা।
বয়ঃসন্ধি সত্যিই খুব আলাদা পর্যায়। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, বয়ঃসন্ধির সময় মানুষের মনে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ, অবসাদ, খাদ্য বিকার, নিজের ক্ষতি করা, আত্মহত্যার প্রবণতা প্রভৃতি দেখা যায়। অল্পবয়সিদের মধ্যে আনন্দের থেকে নিরানন্দের ভাবটাই বেশি থাকে। নেতিবাচক মনোভাব দেখা দেয়। ডিসফোরিয়ায় আক্রান্ত হয় তারা। এই বয়সের ছেলে-মেয়েদের কম-বেশি সবার মধ্যেই অস্পষ্টতা, খিটখিটে ভাব, অস্থিরতা অধিক পরিমাণে দেখা দেয়। নানা বই এবং ম্যাগাজিনে বয়ঃসন্ধির ছেলে-মেয়েদের মেজাজ-মর্জিগত সমস্যা নিয়ে অনেক কিছু লেখালিখি হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি, মনস্তত্ত্বের উচ্চতর গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, অল্পবয়সি ছেলে-মেয়ের মধ্যে ডিসফোরিয়ার কারণ হল শৈশবের সরলতা এবং নিশ্চিত নিরাপত্তার বোধ।
বয়ঃসন্ধির ছেলে-মেয়েদের মেজাজ-মর্জির চরিত্র নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। এই বয়সের মানুষ গান শুনতে ভালোবাসে। লার্সনের মতে, অল্পবয়সিদের গান শুনতে ভালো লাগে, কারণ তারা এর মাধ্যমে নিজেদের অনুভূতিগুলি প্রকাশ করতে পারে এবং সাময়িকভাবে হলেও নিজের সম্পর্কে একটা বোধের জন্ম হয় তাদের মনে। বৈজ্ঞানিকভাবে একথা সঠিক যে, বয়ঃসন্ধির ছেলে-মেয়েদের ক্ষেত্রে গান তাদের মেজাজ চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। ফিনল্যান্ডের দুই গবেষক সুভি সারিকাল্লিও এবং জাক্কো আর্ক্কিলা দেখিয়েছিলেন যে, সুরের মধ্য দিয়ে অল্পবয়সিরা নিজেদের অনুভূতির প্রকাশ ঘটায় এবং আত্মশুদ্ধি করে। এর মাধ্যমে তাদের সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলির বিকাশ হয়।
বড়রা যেমন গান শোনার মধ্য দিয়ে মেজাজ ঠিক রাখার চেষ্টা করে, তেমন আবার তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের আরেকটি কৌশল হল- সুখস্মৃতি চিন্তা করা বা রোমন্থন করা। পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, মানুষের জীবনের ইতিবাচক ঘটনা তার মেজাজ-মর্জিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। বিশেষত, মুখে কথা বলার চেয়ে, সুখের ঘটনা কল্পনা করে মানুষের মেজাজ ভালো থাকে। যেমন- প্রিয় বা কাছের মানুষের সঙ্গে ছুটির সময়ে বেড়াতে যাওয়ার স্মৃতি মানুষকে চাঙ্গা করে। বেড়ানোর ছবি দেখলে মানুষের মন ভালো হয়ে যায়। কিন্তু এই বিষয়ে কথাবার্তা বলে সুখস্মৃতি চিন্তা করতে মানুষের বড় একটা পছন্দ হয় না। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, মানুষের মনের অবসাদ ঘোচাতে চিকিৎসাশাস্ত্র যা না সাহায্য করে, জীবনে আনন্দের স্মৃতি হাতড়িয়ে তার থেকে মানুষ অনেক বেশি উপকার পায়।
একটি নতুন আন্তর্জাতিক গবেষণা
পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে মানুষ অনেক তথ্য জানতে পারে ঠিকই, কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে এর প্রয়োগ সবসময়ে সম্ভব নয়। পরীক্ষার মাধ্যমে সমস্যার কারণ খোঁজার চেষ্টা করা হয় ঠিকই, কিন্তু তা দিয়ে মানুষের মেজাজ কিসে ভালো থাকবে, তা সবসময়ে বোঝা যায় না। গবেষকদের মধ্যে হোয়াইট সোয়ান ফাউন্ডেশনের ডাঃ গরিমা শ্রীবাস্তব এই বিষয়ে অনেক প্রশ্ন এবং তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তার মধ্যে ১১০জন পূর্ণবয়স্ক মানুষ রয়েছেন, যাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য খুবই ভালো। এঁরা মূলত এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকার বাসিন্দা। তাঁরা স্বাভাবিকভাবে জীবনের প্রতি সন্তুষ্ট এবং মানসিক চাপ সামলাতে সক্ষম।
গবেষণায় ঠিক কী ধরা পড়েছে? প্রথমত, এরা কম-বেশি সবাই প্রায় নিজেদের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। সর্বনিম্ন ২৩.৬ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন নিজের মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে। আবার সর্বমোট ৫৩.৬ শতাংশ মানুষ প্রতি সপ্তাহে নিজেদের মেজাজ ঠিক রাখার চেষ্টা করে। শুধু চারজন অংশগ্রহণকারী এরকম কিছুই করে না। এই ছোট দলে পুরুষ এবং মহিলা দুজনেই রয়েছে। দ্বিতীয়ত, দেখার চেষ্টা করা হয়েছে যে, কত শতাংশ মানুষ আনন্দদায়ক স্মৃতি মন্থন করে ভালো থাকে। দেখা গিয়েছে ৩৩.৬ শতাংশ মানুষ এতে ভালো থাকে। ২৬.৩ শতাংশ ভালো থাকার চেষ্টা করে। আর ১৯.১ শতাংশের শুধু দুঃখ দূর হয়। ৯.১ শতাংশের মনের অস্থিরতা দূর হয়। আর ৬.৪ শতাংশ মানুষ একঘেয়েমি কাটায় আর ৫.৪ শতাংশের কেবল মনের ভার কিছুটা কমে।
কোন পরিস্থিতিতে মানুষ অতীতের ভালো স্মৃতির কথা ভাবে? দেখা গিয়েছে যে, ৫০.৯ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে তারা যখন শারীরিকভাবে একা থাকে, যেমন গাড়িতে বা ঘরে তখন তাদের সুখস্মৃতি মনে আসে। আবার ২৬.৩ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে, তারা যখন কোনও সামাজিক কাজের মধ্যে থাকে, কিন্তু আর পাঁচটা মানুষের মধ্যে থাকে তখন তাদের মধ্যে ভালো ঘটনা মনে করার প্রবণতা জাগে। ২২.৭ শতাংশের মধ্যে বাসে চড়া বা বাজার করার সময়ে এমন চিন্তা মাথায় আসে।
ঠিক কোন ধরনের আনন্দের কথা মানুষ মনে করতে চায়? ৩৭.৩ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, একমাস আগে ঘটা বা এক বছর আগের কোনও ঘটনা। ২২.৭ শতাংশের ক্ষেত্রে এটা গত সপ্তাহের ঘটনা। ২০.০ শতাংশের ক্ষেত্রে এটি গত মাসের ঘটনা বা গত বছরের ঘটনা হতে পারে। ঘটনার বিষয়বস্তু নির্বাচনে মানুষের ১০ রকমের পছন্দের কথা জানা গিয়েছে। অধিকাংশের ক্ষেত্রেই সামাজিক কাজকর্ম। যেমন- ২০.০ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে এটা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো। ১৭.৩ শতাংশের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বা পরিবারের কাজে যুক্ত থাকা। ১৬.৪ শতাংশের ক্ষেত্রে ঘোরাফেরা বা ছুটি কাটানো। ১৫.৫ শতাংশের ক্ষেত্রে রোম্যান্টিক স্মৃতি এবং ৭.৩ শতাংশের ক্ষেত্রে গান বা সুরের মধ্যে থাকা। এছাড়াও আরও তিনটি বিভাগ রয়েছে। যেমন- ২.৭ শতাংশের ক্ষেত্রে খেলাধূলা করা। ১.৮ শতাংশের ক্ষেত্রে সিনেমা বা টিভি দেখা এবং ০.৯ শতাংশের ক্ষেত্রে ধর্মীয় কাজের যুক্ত থাকা। কারও কিন্তু ভালো স্মৃতির মধ্যে ইন্টারনেট বা ওয়েবসাইট দেখার অভিজ্ঞতা নেই। ফেসবুকও এই তালিকায় জায়গা পায়নি।
আগের গবেষণায় যখন আনন্দের স্মৃতি চিন্তার মধ্য দিয়ে মানুষের মেজাজ-মর্জি ঠিক রাখার বিষয়টা দেখার চেষ্টা হয়েছিল, তখন মাত্র ৩.৬ শতাংশের মধ্যে এই বিষয়ে সামান্য সাড়া মিলেছিল। ১২.৭ শতাংশের মধ্যে খুব অল্প পরিমাণ সাড়া মিলেছিল। ৪৯ শতাংশের মধ্যে মাঝারি প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছিল। এবং ২৫.৫ শতাংশের মধ্যে ভালো সাড়া মিলেছিল। মানসিক চাপ সংক্রান্ত প্রশ্নের ক্ষেত্রে ফলাফলটা অন্যরকম ছিল। ৪০ শতাংশ মানুষ বলেছিল যে, ভালো স্মৃতি মনে করার মাধ্যমে তাদের মেজাজ মাঝারি মানের ভালো হয়। ২৫.৪ শতাংশের ক্ষেত্রে ফলাফল ছিল খুব সামান্য পরিমাণ এবং ২২.৭ শতাংশের ক্ষেত্রে এটা ছিল ভালো মানের পরিমাণ। এই গবেষণাটা মূলত হিন্দু কলেজ পড়ুয়া মহিলাদের উপরই করা হয়েছিল। অধিকাংশ মানুষই বলেছিল যে, ভালো স্মৃতি মনে করার মাধ্যমে তাদের মেজাজ-মন চাঙ্গা থাকে।
এই গবেষণা থেকে মানুষ কীভাবে উপকৃত হতে পারে? এর থেকে মানুষ দুটি প্রশ্নের উত্তর পাবে। প্রথমত, কোন কাজ বা ঘটনা মানুষের মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে। এবং কোন ধরনের অভিজ্ঞতায় মানুষের মেজাজ বিগড়ে যায়। এর উত্তর হল যে, এমন কাজ বা অভিজ্ঞতা যা মানুষকে আত্মনিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করে। এবং এর মধ্য দিয়েই মানুষ ভালো থাকে।
দ্বিতীয়ত, এর মধ্য দিয়ে মানুষ তার স্মৃতিশক্তির বৈচিত্র উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়। এক্ষেত্রে ভারতে বসবাসকারী অধিকাংশ অংশগ্রহণকারীর কাছে পারিবারিক কাজ বা ব্যক্তিগত কাজই মূল্য পেয়েছে। তবে আগে যে দশটি বিভাগের কথা বলা হয়েছে, সেগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং এগুলি প্রয়োগের মাধ্যমেই মানুষ ইতিবাচক মানসিকতার অধিকারী হয়। এবং জীবনে স্বস্তি ও শান্তি পেতে পারে।
এডওয়ার্ড হফম্যান নিউ ইয়র্কের ইয়েশিভা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে অতিরিক্ত সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। তাছাড়া উনি একজন অনুমোদিত মনোচিকিৎসক। মনোবিজ্ঞান জগতে ওঁর সম্পাদিত এবং লেখা ২৫টিরও বেশি বই আছে। সম্প্রতি ডাঃ উইলিয়াম কম্পটন রচিতপজিটিভ সাইকোলজি: দ্য সায়েন্স অফ হ্যাপিনেস অ্যান্ড ফ্লারিশিং বইটিতে সহ লেখকের ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়া উনি ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ পজিটিভ সাইকোলজি এবংজার্নাল অফ হিউম্যানিস্টিক সাইকোলজির সম্পাদকমণ্ডলীর অন্তর্গত।
আপনি তাঁকে columns@whiteswanfoundation.org ঠিকানায় চিঠি লিখতে পারেন।