অসুখটি যখন ধরা পড়ল, তখনকার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? আপনার পরিবার এবং স্বামী ঐ সময়ে কী ভূমিকা পালন করেছিলেন?
প্রথম যখন আমি মানসিক বিষণ্ণতা এবং বাতিকগ্রস্ত মানসিক অবসাদের শিকার হই, তখন তা আমার অজান্তেই আমাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল। সেই সময় এই অসুখ আমার মনের অনেক গভীরে ছড়িয়ে পড়েছিল। তখন আমার মধ্যে প্রায়শই চূড়ান্ত দৃষ্টিবিভ্রম বা হ্যালুসিনেশন, ভয়ঙ্কর রাগ এবং মারাত্মক কান্নাকাটি করার প্রবণতা দেখা দিত। একনাগাড়ে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে এই মানসিক অস্বাভাবিকতা স্থায়ী হত। পর্যায়ক্রমে এই অবস্থা চলার ফলে আমি যে মনে মনে কী পরিমাণে পঙ্গু এবং আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছিলাম, তা বললে হয়তো কেউ বিশ্বাসই করতে
চাইবেন না।
ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে আমার একটু সময় লেগে গিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে একজন ব্যক্তি আমার বাড়িতে এসে বাবা-মায়ের সঙ্গে পরামর্শ করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে আমার সঙ্গেও এই বিষয়ে আলোচনা করেন। জীবনের ওই অধ্যায়ের বেশিরভাগ সময়েই আমার মধ্যে বিদ্রোহী ভাব, চরম ক্ষোভ এবং তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ পেত। এমনও মুহূর্ত আসত, যখন এহেন দিশাহারা মানসিক যন্ত্রণার কবল থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা ভাবতাম।
অবশেষে বিশেষজ্ঞের সহায়তায় যখন অসুখটিকে চিহ্নিত করা সম্ভব হল, তখন তা আমার পক্ষে কিছুটা সুখকর হয়েছিল। কারণ, সেই সময়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্ধকার থেকে আলোয় এসেছিল। সেগুলির মধ্যে একটি হল— সেই সময় আমার এমন কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল, যার ফলে আমার মস্তিষ্কে অবস্থিত বিভিন্ন হরমোনের রাসায়নিক গঠনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। শারীরিক কাজকর্ম -এর ফলে ব্যাহত হচ্ছিল। দ্বিতীয়ত, আমার মনে পড়ে, সেই সময় আমি আমার বাবা-মায়ের যত্ন ছাড়া অন্য কারও সহায়তা গ্রহণে একেবারে রাজি ছিলাম না। যদিও এই বিষয়টি আমার কাছে স্পষ্টভাবে বোধগম্য হয়নি। তৃতীয়ত, আমি এটা বুঝতে পেরেছিলাম যে, যথাযথ ওষুধ প্রয়োগ আমার এহেন চূড়ান্ত মানসিক বিপর্যয় থেকে আমাকে রক্ষা করবে। তাই খুব নিয়ম করে আমি ওষুধ খাওয়া শুরু করেছিলাম, যা আমাকে অসুখ থেকে সেরে উঠতে ভীষণভাবে সাহায্য করেছিল।
এই প্রসঙ্গে আমার পরিবারের সাহায্যের কথা সত্যিই উল্লেখ করার মতো। কারণ, তাদের পূর্ণ সমর্থন না পেলে আজ আমার পক্ষে বেঁচে থাকা বা কথা বলা কোনোটাই সম্ভব হত না। আর এক্ষেত্রে আমার স্বামীর ভূমিকা বিশেষ কৃতিত্বের দাবি করে। কারণ, সদ্য-বিবাহিত একজন পুরুষের পক্ষে নিজের চোখে তাঁর স্ত্রীর মানসিক অস্বাভাবিকতা, চূড়ান্ত উদ্বেগের শিকার হওয়া এবং মনের দিক থেকে একধরনের ভয় বা আতঙ্কে একেবারে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা প্রতিনিয়ত দেখা ও সহ্য করা মোটেই সহজ কাজ নয়। অন্য কেউ হলে হয়তো অনেক আগেই আমাকে ছেড়ে চলে যেত। কিন্তু এক্ষেত্রে আমার ভাগ্য এতটাই ভালো যে, আমার স্বামী আমার জীবনের চরমতম বিপর্যয়ের সময় সারাক্ষণ আমাকে আগলে রেখেছিলেন।
আপনি তো মনোরোগের চিকিৎসা করিয়েছেন। আপনার কি মনে হয় যে এহেন চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া একান্ত জরুরি ছিল? আপনি কি বিশ্বাস করেন যে এখনও আপনার ওষুধ বা কাউন্সেলিং-এর প্রয়োজন রয়েছে?
একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে, অর্থাৎ অসুখ ধরা পড়ার আগের তিন মাস আমি শারীরিক এবং মানসিক— দুই দিক থেকেই চরম যন্ত্রণা ভোগ করেছি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল ভাবাবেগের চরম অবনতি। পরিস্থিতি এতটাই দুর্বিষহ ছিল যে, কেউ তার অতি বড় শত্রুর ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটুক, তা কখনোই চাইবে না।
প্রায় মাস তিনেক ধরে আমি একাকিত্ব, অনিদ্রাজনিত সমস্যা এবং বাতিকগ্রস্ত মনোভাবের শিকার হয়েছিলাম। কিন্তু একইসঙ্গে আমি এটা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে, আমার স্বামী কত শান্ত এবং ধৈর্য সহকারে সেই সময়কার অস্বাভাবিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। সেই সময় বহুবার আমার রাগ বা অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ এমন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছিল যে, তার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো যে কারও পক্ষেই অসম্ভব ছিল। একথা সত্যি যে, আমি যদি সেদিন সঠিক সাহায্য না পেতাম, তাহলে হয়তো দীর্ঘ সময় ধরে আমাকে প্রবল মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে জীবন কাটাতে হত।
এটা খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, মানুষের মনের কাজকর্মের প্রক্রিয়া সম্বন্ধে সঠিক ধারণা করা অত্যন্ত কঠিন। আমাদের অধিকাংশেরই মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে জ্ঞান নিতান্তই কম, বা আমরা বেশিরভাগ মানুষই এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠতে পারেনি। তাই মানসিক অবসাদে আক্রান্ত একজন মানুষের যন্ত্রণা বোঝা বা এর থেকে উদ্ভূত অজানা ভয়ের মোকাবিলা করা আমাদের অধিকাংশের পক্ষেই সহজসাধ্য নয়। আমার অভিভাবকেরাও আমার রোগ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অন্ধকারেই ছিলেন। আর এই কারণেই একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ একান্ত জরুরি হয়ে উঠেছিল। আমার মতে, অসুখ সারানোর ক্ষেত্রে এটিই হল সবচেয়ে কার্যকরী উপায়।
মনোরোগ বিশারদের যথাযথ মূল্যায়ন আমার মানসিক স্বাস্থ্যের সংকট দূর করে আমাকে সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছিল। তাঁর সচেতনতা এবং অভিজ্ঞতা বিরূপ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সমর্থ হয়েছিল এবং তাঁর নিরপেক্ষ মনোভাব আমাকে আমার সমস্যা অতিক্রম করতে সাহায্য করেছিল।
আপনার প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই হ্যাঁ। এই রোগের মোকাবিলার জন্য আমি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম এবং তাঁর পরামর্শ মতো ন’মাস ধরে ওষুধ খেয়েছিলাম। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যে ওষুধ চলেছিল, আমি লক্ষ্য করেছিলাম তাতে ফল ইতিবাচকই হয়েছিল। ওষুধের ডোজ ক্রমান্বয়ে কমতে কমতে ন’মাস পরে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
আজ পর্যন্ত প্রায় ১৩ বছর হল আমি ওষুধ না খেয়েও ভালো আছি। এছাড়া কাউন্সেলিং -এরও আর কোনও প্রয়োজন হয়নি। একটা সময় ছিল, যখন কোনও সতর্কতা এবং লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার আগেই একপ্রকার সমস্যা আমাকে বিপর্যস্ত করে তুলত। কিন্তু মনোরোগ বিশেষজ্ঞের চিকিৎসায় আমার এহেন সংকট কেটে যায় এবং মনের সকল অনুভূতির উপর আমার নিয়ন্ত্রণ গড়ে ওঠে।
কীভাবে আপনি উপলব্ধি করলেন যে লেখালিখির মাধ্যমে আপনার মনের বিপন্নতা দূর হয়ে যাবে?
লেখালিখি বরাবরই আমার রোগ সারাতে সাহায্যকারীর ভূমিকা নিয়েছে। এমনকী, আমার প্রাণঘাতী মানসিক অসুস্থতার আগে যখন মানসিক অবসাদ এবং বাইপোলার বিকারজনিত সমস্যা দেখা গিয়েছিল, তখনও আমার লেখালিখিই আমাকে সেই বিপর্যয়ের কবল থেকে রক্ষা করতে ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। আমার এখনও মনে পড়ে যে, চিকিৎসা প্রক্রিয়ার মাঝখানে, সম্ভবত কয়েক মাস থেরাপি চলার পর ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করেই আমি নিজের চিন্তার প্রকাশ ঘটাতে লেখা শুরু করি। যাইহোক, নিজেকে মানসিক বিষণ্ণতা থেকে সুরক্ষিত রাখতে হাতে কলম ও কাগজ তুলে নেই। সেটা ২০০২ সালের প্রথম দিকের কথা। তখন নিজের ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে ঘরে-ঘরে কম্পিউটারের বহুল প্রচলন হয়নি। তাই লেখার কাজ তখন সাবেকি প্রথায়, অর্থাৎ কাগজের উপর কলমের আঁচড়েই সম্ভব হত। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই যে আমার মনের ভিতরের অশুভ দিকগুলি প্রকাশ পেত, তা নয়। কিন্তু মনের মধ্যে পুষে রাখা রাগ, ক্ষোভ প্রভৃতির সহজাত প্রতিক্রিয়া প্রতিফলিত হত আমার লেখার মধ্যে।
আমার মেয়ের জন্মের একবছর পর আমি পত্রিকায় লিখতে এবং নিজস্ব একটা ব্লগ রচনা করি। প্রথম প্রথম নতুন মা হওয়ার অনুভূতি আমি ডায়েরিতে লিখে রাখতাম। তারপর ধীরে ধীরে আমার লেখার মধ্যে আত্মবিশ্লেষণ এবং চিন্তাশীলতার প্রকাশ ঘটতে শুরু করে। এইভাবে ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে নিজস্ব ব্লগে আমি আমার গভীর ও ব্যক্তিগত ধ্যান-ধারণা তুলে করতে সচেষ্ট হই। এবং আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করি, আমার লেখায় সঙ্গে আরও বহু মানুষের চিন্তাভাবনার প্রতিধ্বনি শুনতে পাওয়া যাচ্ছে।
কিন্তু ২০১৫ সালের প্রথম দিকে যখন আমি পাকাপাকিভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, মানসিক অবসাদ এবং বাইপোলার বিকারজনিত সমস্যার বিরুদ্ধে আমার লড়াইয়ের কথা আমি সর্বসমক্ষে বলতে শুরু করব, তখনই সমগ্র প্রক্রিয়াটির মধ্যে আরও গতির সঞ্চার হয়েছিল। সহসাই দেখলাম আমার এই উদ্যোগের সঙ্গে অনেক মানুষের অভিজ্ঞতা শামিল হয়েছে। বিভিন্ন মানসিক অসুখের শিকার এমন বহু ভুক্তভোগী এবং পরিচর্যাকারীরা তাঁদের জীবন সংগ্রামের কথা আমার সঙ্গে আদান-প্রদান করছেন।
অসুস্থতার বিষয়ে আমার লেখাগুলি আমাকে দুই ভাবে সাহায্য করেছিল। প্রথমত, আমার লেখার মধ্য দিয়ে আমি ভুক্তভোগী মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি কীভাবে গড়ে তোলা যায়, তা বর্ণনা করেছিলাম। আবার এই বিষয়ে অন্যান্য বহু মানুষের চিন্তাভাবনার সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করতেও সক্ষম হয়েছিলাম। লেখাকে আমি দ্বিমুখী প্রক্রিয়া বলে মনে করি। একদিকে আমরা যেমন নিজেদের জন্য লিখি, তেমন অন্যদিকে আবার আরও অনেক পাঠকের জন্যও লিখি। যখন এই দুটি বিষয় মিলেমিশে যায়, তখনই অবিশ্বাস্যভাবে এর সুপ্রভাব আমাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
যাঁরা আপনার মতো এহেন মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের প্রতি আপনি কী ধরনের বার্তা দিতে চাইবেন?
সে তো অনেক কথাই বলার আছে। তবে আমি চেষ্টা করব যতটা সম্ভব সংক্ষেপে সেগুলি বলতে।
সবার আগে আমি বলতে চাই যে এহেন অসুখের শিকার হওয়া কোনও মানুষ যেন নিজেকে একা বা বিচ্ছিন্ন না ভাবেন। আমরা কখনোই প্রকৃত একা নই। সাহায্য করার মতো অনেক কিছুই আমাদের চারপাশে রয়েছে। এক্ষেত্রে আদর্শ দৃষ্টান্ত হল পরিবার এবং কাছের মানুষের পূর্ণ সমর্থন পাওয়া। যদি তা কোনও কারণে সম্ভব না হয়, তাহলে কিছু বিশ্বাসভাজন বন্ধুর সাহচর্য প্রয়োজন, যাঁরা বিপন্ন মানুষটিকে আন্তরিকভাবে সাহায্য করতে ইচ্ছুক।
দ্বিতীয়ত, নিজেকে দোষারোপ করা মোটেই চলবে না। কোনও মানুষই নিজের মানসিক অসুস্থতার জন্য দায়ী নয়, যেমন কাউকে ডায়াবেটিস বা ক্যান্সারের জন্য দায়ী করা যায় না। অন্যের কথা শুনে এইসব ক্ষেত্রে নিজের অবস্থার কল্পনা করা একেবারে সঠিক কাজ নয়। নিজের মতো আরও একজনকে, যিনিও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, তাঁকে মনের কথা খুলে বলা একান্ত জরুরি। অনলাইনের মাধ্যমেই হোক বা অন্য যেভাবেই হোক, নিজের সমর্থক একদল মানুষকে পাশে চাই, যাঁরা একজনকে অন্ধকার থেকে আলোয় আনতে সক্ষম।
তৃতীয়ত, এমন মানুষ আছেন, যাঁরা মানসিক অসুস্থতাকে সামাজিক কলঙ্ক বলে মনে করেন এবং এই কারণে মনোবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন না। তাঁদের ভয় হয় যে, যদি তাঁরা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান, তাহলে উন্মাদ বা পাগল বলে তাঁদের চিহ্নিত করা হবে। তাই এই বিষয়ে নিজের কাছের মানুষ বা পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেই সাহায্য চাওয়া দরকার, যাঁরা মনোবিদের কাছে রুগিকে নিয়ে যেতে পারে। এত কিছুর পরেও সমাজের মুখ বন্ধ করা সহজ হবে না। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, একজন আক্রান্তকেই সমস্ত যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়, সমাজকে তা করতে হয় না। তাই সমাজের অঙ্গুলিহেলনের প্রতি নজর না দিয়ে, নিজের সুস্বাস্থ্যের চিন্তা করাই বাঞ্ছনীয়।
সবশেষে বলতে চাই যে, মানসিক রোগে আক্রান্তদের জন্য বহু সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন দক্ষ ডাক্তার রয়েছেন, উপযুক্ত ওষুধপত্র আছে, একজনের কাছে সাহায্য না পেলে অন্যজনের কাছে যাওয়ার স্বাধীনতাও রয়েছে। কে কোন পথে যাবেন, সেটা তাঁকেই ঠিক করতে হবে। তবে, রোগের উপসর্গ এবং সতর্কতাকে অবহেলা করা চলবে না। তাই নিজেকে রোগমুক্ত করতে আক্রান্তদের উচিত আর দেরি না করে এখনই সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করা।
শৈলজা বিশ্বনাথ একজন ফ্রিল্যান্স লেখক, সম্পাদক এবং ব্লগার। অভিভাবকের দায়িত্বপালন, পড়া, লেখা, সাঁতার কাটা এবং নানান সামাজিক কাজে নিজেকে যুক্ত করতে তিনি ভালোবাসেন।