কর্মক্ষেত্র

নিজের মানসিক অসুস্থতা মোকাবিলার জন্য আমি একটা বন্ধুত্বপূর্ণ কাজের পরিবেশ বেছে নিয়েছিলাম

হোয়াইট সোয়ান ফাউন্ডেশন

কয়েক বছর আগে আমি একটা ব্যস্ত কর্পোরেট চাকরিতে যোগ দিয়েছিলাম। বহুক্ষণ ধরে আমাকে কাজ করতে হত এবং কাজটাও ছিল খুব চাপের। শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে আমাকে অনেক বাধা সহ্য করতে হত। কাজে যোগ দেওয়ার দু'বছর পরে আমার ফাইব্রোমায়ালজিয়া, এন্ডোমেট্রিওসিস এবং মানসিক উদ্বেগের সমস্যা ধরা পড়ে। তখন আমি অনেকক্ষণ ধরে কাজ করতে পারতাম না এবং কোনওরকম কাজের চাপ নিতে পারতাম না। তাই তখন আমি ওই চাকরি ছেড়ে দিয়ে পড়াশোনা করতে শুরু করি।

পড়াশোনা শেষ হলে আমি ভাবতে থাকি যে আমি কি পুরনো চাকরিতে ফিরে যাব, নাকি ওই কাজের মতোই অন্য কাজে যোগ দেব। সেই সময়ে কাজের পরিবেশ, কাজের চাপ ও কাজের সময়সীমা নিয়ে আমার মনে নানা চিন্তাভাবনা দেখা   দিয়েছিল। এবং আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আগের চাকরিটা আমার পক্ষে খুবই চাপের হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আসলে আগের অফিসের পরিবেশ একেবারেই বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল না। আমি আমার সমস্যা কোনও সহকর্মীর কাছেই খুলে বলতে পারতাম না ও সমস্যা সমাধানের জন্য কোনও সাহায্যও আশা করতাম না।

 দ্বিতীয়বার যখন আমি চাকরিতে যোগ দিলাম তখন আমার কাজের জায়গাটা ছিল খুবই বৈচিত্রপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ। এখন আমি যে সংস্থায় কাজ করি সেখানকার কর্তৃপক্ষ ও সহকর্মীরা আমার সমস্যাটা বোঝে। আর এভাবেই এখানে আমরা একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করি। আমার ফাইব্রোমায়ালজিয়া নামে যে অসুখ করেছে তাতে আমি মাঝে মাঝে ব্যথায় পঙ্গুর মতো হয়ে যাই ও ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়ি। অনেকসময়ে আবার আমার মস্তিষ্ক ঠিকভাবে কাজ করে না। ফলে তখন পরিষ্কার চিন্তাভাবনাও করতে পারি না। এই সময়ে আমি বাড়িতেই থাকতে পছন্দ করি। আমার কাজের চাপ এইসময়ে অনেক শিথিল থাকে ও সহকর্মীরা আমার উদ্বেগের সমস্যাটা বুঝতে পেরে আমাকে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করে দেয়।

আসলে আমার নতুন অফিসে কাজের পরিবেশ এতটাই বন্ধুত্বপূর্ণ যে আমি অন্যান্যদের সঙ্গে নিজের সমস্যা কোনও মতামত বা উপদেশ ছাড়াই মন খুলে ভাগ করে নিতে পারি। এর ফলে আমি অত্যন্ত উপকৃত হই।

অনুরোধবশত লেখকের নাম প্রকাশ করা হল না।

(লেখাটি ইংরাজি থেকে অনুবাদ করা হয়েছে।)