কর্মক্ষেত্র

নিজের প্রত্যাশা পূরণের ক্ষেত্রে আমি নিশ্চিত

হোয়াইট সোয়ান ফাউন্ডেশন

২০১২ সালটা আমার কাছে খুবই কঠিন সময় ছিল। সেই সময়ে আমি আমার সমস্ত কাজকর্ম ঠিকভাবে সামলাতে পারতাম না। আমার অফিসের বড় সাহেব (বস্‌) আমার সঙ্গে গল্পের ছলে নানা কথাবার্তা বলতেন ও বোঝাতে চাইতেন যে কীভাবে পারিপার্শ্বিক চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চলতে হয়। ওই সময়ে আমি যে মানসিকভাবে সুস্থ ছিলাম না, তা আমি কারোর কাছেই পরিষ্কার করে বলতে পারতাম না। তাই বড় সাহেবের সঙ্গে কথাবার্তার ফাঁকেই আমি আমার সমস্যার কথা তাঁকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু সেক্ষেত্রেও খুব তাড়াতাড়ি সমাধানের উপায় ছিল না। তবে আমার সমস্যাটা বস্‌ খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিলেন। আমার কাজের চাপ অনেক কমে গিয়েছিল সেই সময়ে। আর ওই সময়ে আমি এমন সব কাজ করার সুযোগ পাই যা আমাকে আমার সমস্যা থেকে বেরতে সাহায্য করেছিল। যেমন সেই সময়ে আমি মাঝে মাঝে কাজের থেকে ছুটি পেতাম বা বাড়িতে বসেই কাজ করার সুযোগ পেতাম।

আমার ভাগ্য খুবই ভালো ছিল যে ওই কঠিন সময়ে আমি আমার সহকর্মীদের আন্তরিক সাহায্য পেয়েছিলাম। ফলে আমার মধ্যে গুরুতর মানসিক অবসাদ দেখা দেয়নি। তবে এখনও আমার জীবনে চড়াই-উতরাই লেগেই রয়েছে। আমি এমন একটা ছোট সংস্থায় কাজ করি যেখানকার পরিবেশ অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। তাই আমি নিশ্চিত থাকি যে আমি আমার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব। বিশেষ করে সব কাজই আমি নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে পারব বলে আশাবাদী থাকি। আমি একজন খোলা  মনের মানুষ। তাই আমি আমার সমস্যার কথা অন্যদের কাছে বলতে পারি ও তাদের সঙ্গে একাত্ম হতে পারি।

''কাজ করার জন্য যে কর্মক্ষেত্র বা পরিবেশ আপনি বেছে নিচ্ছেন, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। সেই সঙ্গে সমান গুরুত্বপূর্ণ হল, নিজের অসুস্থতার কথা কাছের মানুষ, তা সে পরিবারের সদস্য, বন্ধু বা সহকর্মী, যার কাছেই হোক না কেন, সহজভাবে বলতে পারা।''

লেখাটি লিখেছেন ব্যাঙ্গালোরের একজন উঠতি ব্লগ লেখক ভরত।

এই পর্বের লেখাগুলি মানসিক অসুস্থতা কাটিয়ে কাজের জগতে ফিরে আসা  মানুষজনের জীবন-কাহিনি নিয়ে লেখা হয়েছে। এই পর্বের বাকি লেখাগুলোও আপনি পড়তে পারবেন।

(লেখাটি ইংরাজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে।)