অবসাদ — পরিচর্যাকারীদের অন্যতম অস্বস্তির কারণ

অবসাদ — পরিচর্যাকারীদের অন্যতম অস্বস্তির কারণ

একজন ভুক্তভোগীর অভিজ্ঞতায় পরিচর্যাকারীরা কীভাবে তাঁদের মানসিক উদ্বেগ এবং অবসাদ কাটিয়ে উঠবেন
Published on

আমি প্রতিটি পেশাদার মহিলার মতো ছোটদের শিক্ষাদান, জীবনের সমস্ত বাধা ঠেলে এগিয়ে যাওয়া শিশু এবং তাদের লালন-পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকি। কিন্তু আমার মতো মানুষ, যারা নানাবিধ সামাজিক কাজে অংশ নেয়, বা সমাজের  কল্যাণসাধনের জন্য তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করে, কিন্তু নিজের ভালো-মন্দের প্রতি এরা বেশিরভাগ সময়েই উদাসীন থাকে। এর ফলে তাদের জীবনে মানসিক উদ্বেগ এবং অবসাদ নিত্যসঙ্গী। আর এর সূত্র ধরেই তাদের স্নায়বিক দুর্বলতা প্রকট হয়ে দেখা দেয়।

যাই হোক, আমি জীবনে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ পাইনি, যা আমাকে আমার চরম মানসিক বিপর্যয়ের মোকাবিলায় উপযুক্ত ব্যবস্থার, বা এই বিষয়ে অন্য কারও সঙ্গে পরামর্শ করার, অথবা অপরের সাহায্য নেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক দিশা দেখাতে পারে। এর জন্য আমি আমার পরিবেশকে দোষ দিতে পারি না। কারণ আমি যে সময় বড় হয়েছি, অর্থাৎ ৮০ থেকে ৯০ দশকের প্রথমার্ধে, তখন এই দেশে অবসাদ এবং মানসিক উদ্বেগকে পাগলামি হিসেবে মনে করা হত। সাহায্য পাওয়ার আশাও ছিল খুবই কম। যাইহোক, আজ থেকে প্রায়  বছর দুয়েক আগে আমার জীবনে একটা পরিবর্তনের সূচনা হয়। কয়েকজন বিশিষ্ট মানুষ আমার জীবনকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। সেই সময় আমি হয় প্রাথমিক না হয় দ্বিতীয় সারির পরিচর্যাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলাম। সেই  দিনগুলিতে আমাকে রোজ একঘেয়ে কাজ যেমন, বিল তৈরি করা, নির্দেশ দেওয়া বা রুগিকে ডাক্তার দেখানোর দায়িত্ব পালন করতে হত। রাত্রে একপ্রকার ভয় আমাকে গ্রাস করত এবং সেই ভয় থেকে আমি কোনওভাবেই মুক্তি পাচ্ছিলাম না। উদ্বেগ এবং ভয় এই দুই মিলেমিশে আমার ভিতরের স্নায়ুগুলিকে শক্তিহীন করে দিচ্ছিল। সেই সময় আমার জীবনে দ্বিমুখী লড়াই ছিল। একদিকে যে কোনও আকস্মিক এবং বিরূপ পরিস্থিতির মোকাবিলায় অনেকেই পরিচর্যাকারীর ভূমিকাকে সবচেয়ে গুরুতর বলে মনে করে। অন্যদিকে, কোনও ব্যক্তি যখন গভীর অসুখের শিকার বা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, সে তখন তার পরিবার এবং বন্ধুদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। আর পরিচর্যাকারীরা অলক্ষ্যে সেই রোগীর ছায়াসঙ্গী, জীবন-সংগ্রামের শক্তি এবং তার জটিল অনুভূতিগুলির প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠে।

একজন পরিচর্যাকারী প্রাথমিকভাবে চিকিৎসক, পারিবারিক বৃত্ত, শুভানুধ্যায়ী বন্ধু-বান্ধব এবং অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত বিষয় (এর মধ্যে রয়েছে জীবনবিমার প্রতিষ্ঠানসমূহ)-এর মধ্যে যোগসূত্রের কাজ করে। এছাড়াও একজন পরিচর্যাকারীর কাছ থেকে আশা করা হয় যে, সে ঘটনার গুরুত্ব অনুযায়ী খুব দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করবে। আর এই দায়িত্ব পালন করার সময়ে তারা নিজেদের শরীর-স্বাস্থ্য এবং ভালো-মন্দের প্রতি সম্পূর্ণ উদাসীন থাকবে। আমার অক্ষমতা ছিল যে, আমি চারপাশের সঙ্গে নিজের অনুভূতিগুলিকে খাপ খাওয়াতে পারছিলাম না এবং এই কারণে কখনো-কখনো অন্যদের চোখে বা নিজের কাছে নিজেকে হেয় বোধ করছিলাম।

যাইহোক, এইভাবে ধীরে ধীরে নিত্যনতুন সমস্যার জালে আমি ক্রমে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাচ্ছিলাম। তবে এইসময় আমার প্রতি যাঁরা যত্নশীল ছিলেন, তাঁদের নির্ভুল মূল্যায়ন এবং চিন্তা-ভাবনা আমাকে বুঝতে সাহায্য করেছিল যে, আমিও অন্য সকলের মতোই একজন মানুষ এবং প্রাত্যহিক জীবনে সম্মান ও আনন্দের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার আমারও রয়েছে। এক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি—

  • চিকিৎসকের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা— ডাক্তার যে একজন পরিষেবা প্রদানকারী ব্যক্তি এবং অসুস্থ মানুষের কাছে তাঁর প্রয়োজনীয়তা একজন পরিচর্যাকারীর তুলনায় কোনও অংশে কম নয়, তা উপলব্ধি করতে আমার অনেক সময় লেগে গিয়েছিল। চিকিৎসক একজন মর্যাদাসম্পন্ন পেশাদার। আমার আবার সেই সব মানুষের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা আছে, যাঁরা বেশি বাক্যবাগীশ নয়, চালচলন বা হাবভাবের ক্ষেত্রে শান্ত এবং অন্যের জীবনরক্ষার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে। আমিও এমন চিকিৎসকের মুখোমুখি হয়েছিলাম যিনি নিজের কাজে অত্যন্ত দক্ষ, কিন্তু স্বভাবে একটু রূঢ়। পরিচর্যকারী হিসেবে আমি সেইসব ডাক্তারের কাছেই যাওয়ার পরামর্শ দিই, যাঁরা রোগীর বিষয়ে বিষণ্ণ বা মনমরা থাকার বদলে সবসময় ইতিবাচক বা চনমনে থাকার চেষ্টা করেন। যাইহোক, আমার উপরে যে অসুস্থ মানুষটির দেখাশোনার ভার ছিল, তিনি ওই ডাক্তারের কাছে খুবই সহজ, স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিলেন। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, ওই চিকিৎসক খুব ভালোভাবেই রুগির যত্ন নেবেন। তাই সেক্ষেত্রে আমার কাজের চাপ অনেক কমে গিয়েছিল।

  • অসুখ সারাতে ফাঁকা আওয়াজে কাজ চলবে না, কার্যকরী সহায়তা চাই— এটি খুব সাধারণ ব্যাপার যে কারও অসুখ করেছে শুনলে অনেক মানুষ তার আরোগ্য কামনার জন্য রোগী ও তাঁর পরিচর্যাকারীর কাছে আসে। এদের মধ্যে অনেকেই রোগীকে বারবার আশ্বস্ত করে এই বলে যে, যা হচ্ছে তা না করে, অন্যরকম কিছু করলে রোগী তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু একজন যথার্থ বন্ধু এমন ভালো পরামর্শ দেয়, যা রোগী এবং তার পরিচর্যাকারী উভয়ের ক্ষেত্রেই খুব কার্যকরী হয় এবং তাদের মন থেকে ভুলভাল ধারণাও বেরিয়ে যায়।

  • ছুটি বা বিশ্রামের প্রয়োজন— একজন রোগীর দেখভাল করা পরিচর্যাকারীর পক্ষে শারীরিক এবং মানসিক- দুই দিক থেকেই বেশ কষ্টসাধ্য। তার সঙ্গে যদি অপরাধ বোধ যুক্ত হয়, তাহলে তা একজন পরিচর্যকারীর ক্ষেত্রে খুবই ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে। আমার মনে পড়ে যে, কাজের ফাঁকে আমি যদি একটু সময় পেতাম তাহলে বাজার করতে যেতেও আমার মনে প্রশ্ন জাগত, এটা করা কি উচিত? যাইহোক, আমি খুব দ্রুত উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম যে, এই সমস্যা কাটিয়ে উঠে আমাকে ভালো থাকতে হবে আর নিজেকে আবার আগের মতো করে তুলতে হবে। আমি এ-ও অনুভব করেছিলাম যে, অযথা নিজেকে ভারাক্রান্ত না করার সমস্ত সুযোগ আমাকে নিতে হবে। এমনকী দরকার হলে যেমন কাঁদতে হবে, তেমন আবার গলা ফাটিয়ে নিজের ঢাক নিজেকেই পেটাতে হবে। আমি সেই সময়ে মনে মনে ভেঙে পড়েছিলাম কারণ আমার তখন কেবলই মনে হত যে, এই জীবন থেকে আর আমার কিছুই পাওয়ার নেই বা জীবন আমার প্রতি সঠিক বিচার করছে না। বারুদের মধ্যে যেমন সামান্য আগুন ধ্বংসস্তূপের চেহারা নেয়, তেমন উত্তরোত্তর বেড়ে চলা হতাশাও আমার মানসিক অবসাদ এবং উদ্বেগকে বিপজ্জনক করে তুলছিল। তাই এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আমার একটু বিশ্রাম বা ছুটির প্রয়োজন ছিল, যাতে আমি আমার সমস্যাগুলিকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারি।

  • নিজেকে ভালোবাসা জরুরি— পরিচর্যাকারীরা সাধারণত তাঁদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চাওয়া-পাওয়া বা প্রয়োজনগুলিকে গুরুত্বই দেয় না। এই বিষয়ে তারা বরাবর উদাসীন। কিন্তু অপরদিকে তাঁদের ভাগ্যে এহেন আত্মত্যাগের জন্য কোনও পুরস্কারও জোটে না। এই বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা খুবই করুণ। আমার চারপাশে তখন প্রাণহানির মতো মারাত্মক অসুখের ছড়াছড়ি ছিল। নিজের বেঁচে থাকার জন্য আমি অত্যধিক সচেতন হয়ে উঠি। মানসিক অবসাদ আমার ভয়কে ক্রমশ বাড়িয়ে দিচ্ছিল। কোনও মানুষের সঙ্গই তখন আমার পছন্দ হত না আর এই কারণে আমি অনেক বন্ধুত্বই হারিয়ে ফেলছিলাম। এই অবস্থায় একজন সফল মানুষ আমাকে বুঝিয়েছিলেন যে, আমার এহেন ভয় খুবই স্বাভাবিক বিষয় এবং অচিরেই আমি তা কাটিয়ে উঠব। আর তখন আমি আমার মনের অহেতুক ভয়গুলির বিরুদ্ধে সামনে থেকে মোকাবিলা করার সাহস অর্জন করতে সমর্থ হব। এইভাবে আমার জীবনের অন্ধকার দূর করা সম্ভব হবে।

  • অসুস্থ মানুষের পরিচর্যা আসলে একজন পরিচর্যাকারীকে নিজের প্রতি নির্লিপ্ত করে দেয়। এর ফলে এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যেখানে নিজেকে এবং চারপাশের পরিবেশকে অবাস্তব, অস্তিত্বহীন বলে মনে হয়। ওই সময় আমার কেবলই ভয় হত যে, চারপাশে অস্বাভাবিক কিছু ঘটতে চলেছে আর সেই সময়ে আমার পাশে কোনও মানুষই নেই। আমার মধ্যে যখন এহেন সমস্যা দেখা দিচ্ছিল, তখন আমার এক আত্মীয় আমাকে বোঝালেন যে, কোনও অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির পিছনে মানুষের থাকা বা না-থাকার প্রশ্ন ওঠে না। আমি ধীরে ধীরে অনুভব করলাম যে, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমার নিজের জন্য একটু সময় এবং অন্য কারও সহায়তার প্রয়োজন। এরপর আমি বন্ধুদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যেতাম, একটু সময় পেলেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতাম, স্পা করার জন্য পার্লারের সঙ্গে যোগাযোগ করতাম এবং নিজের ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়াতাম। এই সবের মাধ্যমে আমার নিজের প্রতি একপ্রকার দায়বদ্ধতা জন্মাল, যা আমাকে ভালো ও সুস্থ থাকতে সাহায্য করেছিল।

  • যথাযথ সহায়তার প্রয়োজন— একবার আমাকে আমার এক বন্ধু বলেছিল যে, একজন পরিচর্যাকারীর দায়িত্ব পালন অত্যন্ত কঠিন, কারণ মানুষের মনের অস্পষ্টতাকে বোঝার মতো দুরূহ কাজ তাকে হামেশাই করতে হয়। আর চিকিৎসাধীন একজন মানুষের অসুখ সারতে তো বেশ সময় লেগে যায়। অবসাদগ্রস্ত পরিচর্যাকারী হিসেবে আমার রোগ সারতে শুরু করেছিল তখনই, যখন আমার চারপাশের মানুষজন আমার প্রতি যত্নশীল হয়ে উঠছিল, অন্যেরা নিজস্ব মতামত না দিয়ে আমার কথা মন দিয়ে শুনছিল এবং প্রতিজ্ঞা করেছিল যে, আমাকে একা ছেড়ে দিয়ে তারা কোথাও যাবে না। এই ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞরা আমাকে নিজের মূল্যায়নের কাজে সাহায্য করেছিলেন। আর নিন্দুক বা সমালোচনাকারীদের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এতদসত্ত্বেও তাদের সঙ্গে আমার মাঝে-মাঝেই দেখা হয়ে যেত। কিন্তু হ্যাঁ, তাদের প্রতিও যে আমার একপ্রকার কৃতজ্ঞতা রয়েছে, সেকথা স্বীকার করতে আজ আমার দ্বিধা নেই!

  • দরকার মতো নিজের কথা দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করা জরুরি— নিজের সমস্যা অপরকে বলার ক্ষেত্রে আমার অনেক সময় লেগেছিল। কারণ আমার মনে হয়েছিল যে, একজন অসুস্থ মানুষের চেয়েও আমার উদ্বেগ বা যন্ত্রণা কি বেশি হতে পারে? কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, মনের গভীর ভয় আমার প্রতি যত্নশীল মানুষকে জানাতে আমি আর কোনও সুযোগ হাতছাড়া করব না। এটা আমার মনের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করেছিল। এইভাবে আস্তে আস্তে যখন আমি সমস্যা কাটিয়ে উঠতে শুরু করলাম, তখন অত্যন্ত জোরের সঙ্গে আমার মানসিক উদ্বিগ্নতার কথা আমি অপরকে নিজের মনে করে বলতে আরম্ভ করি। প্রথম প্রথম আমি ভাবতাম যে, আমার সমস্যা শুনে অন্যেরা কী ভাববে! তারপর ধীরে ধীরে উপলব্ধি করতে পারলাম যে, এটা নিছকই আমার মনের ভুল। কারণ আমার সমস্যাকে কেউই লঘু করে দেখবে না। উপরন্তু, যাদের কাছে বলছি, তারাও তাদের মানসিক যন্ত্রণা, বেদনা আমার সঙ্গে ভাগ করে নিতে শুরু করল। শেষমেশ তাদের সঙ্গে আমার গাঢ় বন্ধুত্ব গড়ে উঠল।

মানসিক অবসাদ এবং উদ্বেগ আমার জীবনের সমস্ত গতিকে রুদ্ধ করে ফেলেছিল। আমি এ-ও বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম যে, জীবনভর এই গুরুতর সমস্যা আমাকে বিপর্যস্ত করে তুলবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একদিন আমি আমার নিজস্ব শক্তি, সদিচ্ছা এবং পারিপার্শ্বিক সাহায্যের মধ্য দিয়ে মানসিক অবসাদ কাটিয়ে সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সমর্থ হয়েছিলাম।

অরুণা রামান সামাজিক ক্ষেত্রে তাঁর উদ্ভাবনী ক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। তাঁর মতে মানসিক উদ্বেগ এবং অবসাদ কাটিয়ে মানুষ তার রোজনামচায় সামিল হতে সক্ষম।

logo
হোয়াইট সোয়ান ফাউন্ডেশন
bengali.whiteswanfoundation.org