একজন ভাল মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে খুঁজে পাওয়া
আমরা আমাদের জীবনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে হতাশায় ভুগি, কিন্তু সময়ের সাথে প্রিয়জনদের সাহায্য নিয়ে আমরা সেই হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারি। কিন্তু এই হতাশা যখন আমাদের সম্পূর্ণ রূপে গ্রাস করে ফেলে এবং জীবনের কঠিন পরিস্থিতিগুলির মুখোমুখি হতে দেয়না, তখন আমাদের কি করা উচিত? কখন আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসার জন্য একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত?
এটা জানার এক সহজ উপায় হল নিজের সমস্যাকে আগে ভাল করে বোঝা (যা বিভিন্ন কারণ যেমন অনুভূতি, আবেগ, দুঃখ, দুশ্চিন্তা, অনুভূতি মুড স্যুয়িং, ব্যক্তিগত সম্পর্কে সমস্যা, ইত্যাদি কারণে হতে পারে)। আপনাকে জানতে হবে সেটি আপনার কর্মজীবন, ব্যাক্তিগত জীবন বা সামাজিক জীবনে সমস্যা তৈরি করছে কিনা। এই ভাবেই নিজেকে বা নিজের প্রিয়জনকে জিজ্ঞাসা করলে আপনি বুঝতে পারবেন যে ঠিক কোন সময় আপনাকে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
সাহায্য চাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সাহায্য চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া। আপনি হয়তো কারও কাছে সাহায্য নেওয়ার জন্য মনস্থির করে উঠতে পারেন না। কারণ আপনার মনে হতে পারে যে এই রকম করলে আপনাকে হয়তো লোকজন পাগল বা উন্মাদ ভাববে। আপনাকে হয়তো অনেকে এই সমস্যা থেকে নিজেই বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে পরামর্শ দেবেন।
অনেকে এই সব কারণ ভেবে লজ্জিত ও দোষী বোধ করেন, কিন্তু মনে রাখা প্রয়োজন এই বিষয়ে লজ্জিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। একজন ব্যক্তি যখন ডায়াবিটিস বা হাইপার টেনশন বা হাঁপানির মত নানা রকম শারীরিক সমস্যায় ভোগেন, তখন তিনি কিন্তু সেই রোগের চিকিৎসা করাতে লজ্জা পান না। একই ভাবে, মানসিক রোগের চিকিৎসকের কাছেও আপনার লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই, কারণ তাঁরা কেউই আপনাকে ভুল বুঝবেন না। আপনাকে মনে রাখতে হবে যে কারও কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারলে আপনারই উপকার হবে, আর আস্তে আস্তে আপনি ভাল বোধ করতে শুরু করবেন। আপনাকে এটাও মনে রাখতে হবে যে আপনার পরিবারের সদস্যরা বা একজন পরিচর্যাকারী আপনাকে সেরে উঠতে আরও বেশি সাহায্য করতে পারবেন, বিশেষ করে আপনি যদি মানসিক হতাশা ও চাপে ভেঙে পড়েন বা অন্য কারও সাহায্য নিতে দ্বিধা বোধ করেন।
আপনার সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ
একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার আগে আপনাকে ক’টা জিনিস মনে রাখতে হবে যা আপনার পরিস্থিতি নির্বিশেষে পাওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
বিশ্বস্ততা, গোপনীয়তা, সম্মান এবং মর্যাদা
আপনার চাহিদা ও সামাজিক পটভূমির প্রতি সংবেদনশীলতা
আপনার চিকিৎসা পদ্ধতি বা কিসের দ্বারা আপনি সেরে উঠবেন, তার একটি সহজ ব্যাখ্যা
আপনার যদি সেই ব্যক্তির চিকিৎসায় কোনও ফল না হয়, তাহলে অন্য একজন বিশেষজ্ঞকে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা
প্রথম বার একজন বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার আগে দেখে নিন তাঁর সঙ্গে আপনি সব বিষয় নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন কিনা। এই ক্ষেত্রে তাঁর লিঙ্গ, বয়স, ধর্ম, ভাষা, সামাজিক পটভূমি ইত্যাদি বিষয়গুলি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই সব কারণে একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে না যেতে পারা কোনও ভুল কিছু নয়। তাঁর সঙ্গে আপনি যদি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করেন তা হলে তাঁর সাথে একটি মজবুত সম্পর্ক গড়ে তুলবেন কি করে?
যৌথ সহযোগিতা প্রয়োজন
আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনি ও আপনার চিকিৎসক আলাদা নন, বরং একই পয়সার দু’টি আলাদা দিক। আপনারা দু’জনে মিলেই আপনার আরোগ্যের পরিকল্পনা খুঁজে বার করবেন। আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন যে আপনার চিকিৎসক আপনার চিকিৎসা বা চিকিৎসা চলাকালীন আপনার বলা কথাবার্তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রাখবেন। একটি ভাল চিকিৎসার জন্য একজন রোগী ও তাঁর চিকিৎসকের মধ্যে ভাল সম্পর্ক, সহানুভূতি থাকা প্রয়োজন এবং তাঁদের দু’জনকেই এই সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে।
আমি কি ভাবে বুঝব কোন চিকিৎসক আমার জন্য সঠিক?
মানসিক সমস্যা দু’ভাগে ভাগ করা যেতে পারে: সাইকোলজিকাল এবং সাইকায়াট্রিক। সম্পূর্ণ আবেগজনিত ও মানসিক সমস্যা, যেমন সামান্য হতাশা, দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগের ক্ষেত্রে একজন সাইকোলজিস্ট বা সাইকোথেরাপিস্ট আপনাকে সাহায্য করতে পারেন। কিন্তু অস্বাভাবিক হতাশা বা অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডারের ক্ষেত্রে ওষুধের সঙ্গে আপনার সাইকোলজিকাল চিকিৎসা, যেমন সাইকোলজিকাল কাউন্সেলিং করাতে হবে। প্যারানয়েড স্কিৎজোফ্রেনিয়ার মতন চরম পর্যায়ে দৃষ্টিভ্রম বা মতিভ্রমকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনার ওষুধপত্রের প্রয়োজন হতে পারে। আপনাকে আপনার রোগের মাত্রা ও গুরুত্ব অনুযায়ী বুঝতে হবে যে কোন চিকিৎসক আপনার জন্য ভাল হবেন এবং আপনাকে সেরে উঠতে সাহায্য করবেন।
যদি আপনি বুঝতে পারেন যে আপনি আবেগজনিত বা সাইকোলজিকাল সমস্যায় ভুগছেন, তা হলে সরাসরি একজন সাইকোলজিস্ট বা কাউন্সেলরের কাছে যাওয়াই আপনার জন্য শ্রেয়।
একজন সাইকোলজিস্টের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আপনাকে ভাবতে হবে, যে কি ধরণের চিকিৎসা আপনার প্রয়োজন? বেশির ভাগ চিকিৎসকই নানা রকম মানসিক সমস্যার চিকিৎসা করেন, কিন্তু একজন প্রশিক্ষিত বিশেষজ্ঞের কাছে আপনি সেরা চিকিৎসা পেতে পারেন। যেমন, আপনার যদি ইটিং ডিসঅর্ডার হয়, তাহলে সেই বিষয়ের কোনও বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে। বা যদি ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা বৈবাহিক জীবনে কোনও সমস্যা থাকে তা হলে বিবাহ ও পারিবারিক বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন। বা ধরে নিন আপনার সন্তান তার পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছে, তাহলে তাকে তার স্কুলের কাউন্সেলরের কাছে নিয়ে যান। অনেকেই জানেন যে তাঁরা চিকিৎসকের থেকে ঠিক কী আশা করেন। তাঁরা চান যে চিকিৎসক তাঁদের কথা শুনবেন এবং তাঁদেরকে উৎসাহ দেবেন একটি লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে।
মানসিক অবস্থার আরও অবনতি হলে উপসর্গের মাত্রাও বৃদ্ধি পেতে পারে, যেমন ডিপ্রেশনের বাড়াবাড়ি পর্যায়ে মাথা অসম্ভব যন্ত্রণা হতে পারে, হীনমন্যতা, খিদে ও ঘুমের অসামঞ্জস্য বা আত্মহত্যার ইচ্ছে জাগতে পারে। সেই ক্ষেত্রে মনোবিদ আপনাকে আপনার রোগের উপসর্গ অনুযায়ী অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট দেবেন এবং একজন সাইকোলজিস্ট কগনিটিভ বিহেভিওর থেরাপির সাহায্যে স্বাভাবিক চিন্তা এবং আনন্দময় জীবন ফিরে পেতে সাহায্য করবেন।
আপনার চিকিৎসার ইতিহাস জানানো
আপনার চিকিৎসককে আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে সব কিছু জানানো উচিৎ। আপনার শারীরিক সমস্যা যেমন মাথা ধরা, পেটে ব্যাথা, বা চালচলন যেমন ধূমপান, মাদকাসক্তি, বা নিজেকে জখম করার অভ্যাস নিয়ে জানান। এর সঙ্গে আগে কখনও কোনও মনোরোগের চিকিৎসা গ্রহন করেছেন কি না।
ওষুধপত্র
ওষুধ বা চিকিৎসা সম্পর্কে আপনার যদি কোনও জিজ্ঞাস্য থাকে তা হলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন।
কি ধরণের বিশেষজ্ঞর কাছে আমি যেতে পারি?
প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যে পরিবারের ডাক্তার (এম বি বি এস): প্রথমে আপনি আপনার পরিবারের ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন এটা জানতে, আপনার উপসর্গগুলি অন্য কোনও রোগের কারণ হতে পারে কি না। আপনার মানসিক কোনও সমস্যা আছে কিনা জানার জন্য তাঁরা আপনাকে আবেগজনিত বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। যদি তাঁরা আপনার মধ্যে কোনও মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ খুঁজে পান, তাহলে তাঁরা আপনাকে একজন সাইকিয়াট্রিস্ট বা সাইকোলজিস্টের কাছে যেতে বলবেন।
সাইকিয়াট্রিস্ট (এম ডি): একজন সাইকিয়াট্রিস্ট মানুষের মনের অসুস্থতা নিয়ে কাজ করেন, এবং তার চিকিৎসার জন্য ওষুধ দেন। মনে রাখবেন, একমাত্র আপনার সাইকিয়াট্রিস্ট ছাড়া আর কেউ আপনাকে সঠিক ওষুধের কথা বলতে পারবেন না।
সাইকোলজিস্ট(এম ফিল, পি এইচ ডি): একজন সাইকোলজিস্ট নানা রকম সাইকোলজিকাল ও আচরণগত সমস্যার সম্পর্কে প্রশিক্ষিত হন। তাঁরা আপনাকে নানা রকম কলাকৌশল শিখিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা নানা রকম বিষয় যেমন, সাইকোডাইনামিক, কগনিটিভ বিহেভিওর থেরাপি (সিবিটি), র্যাশনাল ইমোটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি (আর ই বি টি), ক্লায়েন্ট সেন্টারড থেরাপি (কথা বলার মাধ্যমে চিকিৎসা) বা একলেক্টিক থেরাপি (রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা) ইত্যাদি জিনিসের উপর প্রশিক্ষন পান।
মানসিক রোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত সমাজসেবী (সোশ্যাল ওয়ার্ক এম এস ডব্লিউ স্নাতকোত্তর): তাঁরা রোগী বা তাঁর পরিবারের সঙ্গে মিলে রোগ চিকিৎসা করার পরিকল্পনা তৈরি করেন। তাঁরা চিকিৎসার সময় পাশে থাকেন এবং কোনও অসুবিধাজনক পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন, প্রয়োজনে রোগীর কাউন্সেলিংও করে থাকেন।
চিকিৎসার জন্য কত সময় লাগে?
এক একটি সাইকোথেরাপি সেশনে ৪৫ থেকে ৬০ মিনিট সময় লাগে। প্রথমবার সাধারণত কথাবার্তাই বেশী হবে, যেখানে আপনার চিকিৎসককে জানতে চাইবেন যে আপনি তাঁর কাছ থেকে কি আশা করেন এবং কেন আপনার চিকিৎসার প্রয়োজন। চিকিৎসক আপনাকে বলবেন তিনি কি ভাবে আপনার সাহায্য করতে পারবেন এবং, আপনারা দু’জনে মিলে কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করে সে বিষয়ে পরিকল্পনা করবেন। পরবর্তি সেশনগুলিতে আপনাদের রোগের লক্ষণগুলি বেড়েছে না কমেছে এবং সেগুলি কতক্ষনের জন্য থাকছে, তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। এর মাধ্যমে চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি কাজ করছে কি না তা বোঝা সম্ভব।
আমি একজন বিশেষজ্ঞকে কোথায় খুঁজে পেতে পারি?
আপনার পারিবারিক ডাক্তার আপনাকে তাঁর খোঁজ দিতে পারেন
বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়, বা পাড়ায় খোঁজ নিন
কখনও কখনও বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজনের ডাক্তাররা আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞর খোঁজ দিতে পারেন
টেলিফোন ডিরেক্টরি দেখে কমিউনিটি সার্ভিস, ফিজিসিয়ান, কাউন্সেলর, সাইকোলজিস্ট, সাইকিয়াট্রিস্ট বা সোশ্যাল সার্ভিস সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
আপনার এলাকার কোনও নন-প্রফিট, সরকারি বা মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থার ওয়েবসাইটে তাঁদেরকে যোগাযোগ করার নম্বর পেতে পারেন
কিছু কিছু কর্মক্ষেত্রে নিজস্ব এমপ্লয়ি অ্যাসিসটেন্স প্রোগ্রাম (ই এ পি) থাকে। তাঁদের কাছে যাওয়ার আগে তাঁদের সম্পর্কে যাচাই করে দেখুন তাঁরা আপনার গোপনীয়তা বজায় রাখতে পারবে কি না বা প্রোগ্রামটি আইনসিদ্ধ কিনা।
এলাকার কোনও হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজের সাইকোলজি বা সাইকিয়াট্রি বিভাগেও যোগাযোগ করতে পারেন।
আপনার বীমা সংস্থার সাথে যোগাযোগ করুন। আপনার যদি কোনও স্বাস্থ্য বা চিকিৎসা বীমা থাকে তাহলে বীমা সংস্থার মাধ্যমেও তাঁদের খোঁজ পেতে পারেন।
আমি একজন বিশেষজ্ঞর কাছ থেকে কি কি তথ্য জানতে পারি?
একজন বিশেষজ্ঞকে ভাল করে জানতে পারা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাঁর কাছে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী নানা বিষয়ে জানতে পারেন।
তাঁর কি ধরণের প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা রয়েছে?
তাঁরা কিভাবে চিকিৎসা করবেন? সেই পদ্ধতি কি আপনার পক্ষে সুবিধাজনক?
এক একটি সাক্ষাৎকার কতক্ষণের হয় এবং তা ক’দিন চলবে?
তিনি চিকিৎসার খরচ কি ভাবে নেন?
বিপদের সময় তাঁর কাছে কি ভাবে পৌঁছানো যাবে?
তিনি কি কোনও বিশেষ রোগ বা বয়সের লোকের চিকিৎসা করেন? কেউ কেউ যেমন শুধু তরুণদের চিকিৎসা করেন, কেউ আবার শুধু হতাশা, বা খাওয়ার অভ্যাস বা মাদকাসক্তি নিয়ে কাজ করেন। সঠিক বিশেষজ্ঞকে খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন কাজ, প্রথমবারে তাঁকে আপনি নাও পেতে পারেন। কিন্তু একবার যদি তাঁকে খুঁজে পান, তা হলে আপনার অত্যন্ত উপকারই হবে কিছু ক্ষেত্রে:
ক্ষণিকের আবেগজনিত বা সাইকোসোশ্যাল সমস্যা, যেমন কিছু বিশেষ পরিস্থিতির জন্য তৈরি হওয়া মানসিক চাপ থেকে আপনি মুক্তি পাবেন।
অনেকদিন থেকে হতে থাকা ব্যাক্তিগত সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে পারেন
ক্ষতিকারক কিছু ইউপিওএসওআরআরজি থেকে মুক্তি পেতে পারেন
ব্যাক্তিগত প্রতিবন্ধকতাগুলি অতিক্রম করতে পারেন
অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত হবে
নিজের জীবনকে উপভোগ করতে পারবেন
সুত্র:
ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকাল ম্যানুয়াল অফ মেন্টাল ডিসঅর্ডার (ডি এস এম) আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশান (২০০০)। ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকাল ম্যানুয়াল অফ মেন্টাল ডিসঅর্ডার (চতুর্থ সংস্করণ, সংশোধিত) ওয়াশিংটন, ডিসি: লেখক http://www.psychiatry.ru/siteconst/userfiles/file/englit/A.%20Hibbert,%20A.%20Godwin,%20F.%20Dear%20-%20Rapid%20Psychiatry%20(PDF,%20823%20Kb).pdf