বয়স্কদের যত্ন নেওয়া ক্লান্তিকর বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে
বয়স্ক অভিভাবকদের প্রতি যত্ন নিতে গিয়ে একজন পরিচর্যাকারীর শারীরিক ও মানসিক- দুই দিক নিয়েই টানাপোড়েন শুরু হতে পারে। এই প্রবন্ধে কীভাবে একজন বয়স্ক মানুষকে ভালোভাবে পরিচর্যা করা যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে একজন পরিচর্যাকারী তার দায়িত্ব পালনের আগে নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করবে সেই বিষয়টিও এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
নিজের দেখভালের জন্য একজন পরিচর্যাকারীর করণীয় কাজ হল-
অন্যদের তুলনায় একজন পরিচর্যাকারীর মেজাজ-মর্জির সমস্যা এবং মানসিক উদ্বেগজনিত জটিলতার ঝুঁকি থাকে দ্বিগুণ। নিজের সঠিক দেখভাল করতে পারলে একজন পরিচর্যাকারী তার যাবতীয় মানসিক চাপ ও জটিলতা দূর করতে সক্ষম হয়। সেই সঙ্গে প্রিয়জনের প্রতি সে যথাযথ দায়িত্বও পালন করতে পারে।
১. নিজের প্রয়োজনীয়তার দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। যেমন- নিজের খাওয়াদাওয়া ও ঘুম যাতে পর্যাপ্ত এবং ভালো হয় সে বিষয়টা নিশ্চিত করা দরকার।
২. নিজের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি করতে হবে এবং নিজস্ব দায়িত্ব-কর্তব্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
৩. শারীরিকভাবে সক্রিয় ও সুস্থ থাকা দরকার। প্রতিদিন কাজের ফাঁকে শরীরচর্চা, হাঁটাহাঁটি এবং যোগব্যায়াম করা জরুরি।
৪. নিজস্ব কয়েকটি দায়িত্ব পালনের জন্য অন্যের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। যেমন- অর্থনৈতিক সাহায্য, পূর্ণ বা আংশিক সময়ের জন্য পরিচর্যার দায়িত্ব পালন অথবা অভিভাবক বা বাবা-মায়ের দেখভালের দায়িত্ব কিছু সময়ের জন্য বন্ধুবান্ধব কিংবা আত্মীয়স্বজনের হাতে তুলে দিয়ে নিজের বিশ্রামের ব্যবস্থ করা অথবা পরিচর্যা ছাড়াও অন্য দায়দায়িত্ব পালন করার দিকে মনোনিবেশ করা জরুরি।
৫. যদি কেউ নিজের ভূমিকা পালন করতে গিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ে তাহলে পরিবারের অন্যান্য সদস্য, বন্ধুবান্ধব, হেল্পলাইন বা বিশ্বাসভাজন একজন মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া একান্ত বাঞ্ছনীয়।