ভাষা জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও কথা বলতে গিয়ে শব্দ সাজাতে, গলার স্বরে বা স্বাভাবিক গতিতে বাক্যালাপ করতে যখন সমস্যা হয় তাকে স্পিচ ডিস্অর্ডার বলে।
মনে রাখবেন, স্পিচ ডিস্অর্ডার আর ল্যাঙ্গুয়েজ ডিস্অর্ডার এক না। প্রথমটায় শব্দের উচ্চারণে সমস্যা হয়, কিন্তু পরেরটায় ভাষা বুঝতে বা ব্যবহার করতে সমস্যা হয়।
কথা বলা শেখার সময় নতুন শব্দ শিখতে সময় লাগে। তখন নতুন শব্দ বলতে বাচ্চারা দেরী করে। তাঁকে স্পিচ ডিস্অর্ডার ভেবে জোরাজুরি করবেন না। তাতে তোতলামো এসে যেতে পারে।
প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রে, তাঁর অবস্থা অনুযায়ী, উপসর্গ আলাদা হয়। তাই ক্ষেত্র বিশেষে তা চিনতে সমস্যা হতে পারে। উপসর্গ খুবই সামান্য হলে এই সমস্যা নিজে থেকেই সেরে যায়।
শব্দভাণ্ডারে ঘাটতি, পড়তে সমস্যা, চাবাতে বা গিলতে সমস্যা হলেও কথা বলতে অসুবিধা হয়।
খুব ছোট বাচ্চা - ০-৫ বছর
৫-১০ বছর বয়স
গবেষকদের মতে, মুখের মাংসপেশিতে সমস্যা, ক্লেফট প্যালেট, কানের সমস্যা বা সেরিব্রাল পলসির জন্য এই রোগ হতে পারে।
একটা নির্দিষ্ট বয়সের আগে শিশুকে পরীক্ষা করাটা সম্ভব হয় না। কারণ পরীক্ষার জন্যে ডাক্তারের নির্দেশ বুঝতে পারাটাও জরুরি।
এই রোগের নির্ণয়ে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে।
এই রোগের কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। শিশুর প্রতিক্রিয়ার ওপর বিচার করে বিভিন্ন থেরাপির সাহায্যে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়।
বাবা মায়ের তরফ থেকে সাহায্য পেলে বাচ্চা আরও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। সেই সুবিধার্থে সন্তানের চিকিৎসার সময় বাবা মার সেখানে উপস্থিত থাকা বাঞ্ছনীয়।
চিকিৎসার সময় বাচ্চার শারীরিক সুস্থতার কথাও মাথায় রাখা উচিত। আস্থমা, অ্যালার্জি, সাইনাস, টনসিল ইত্যাদির সমস্যায় ভুগলে চিকিৎসাতে উন্নতি ঘটতে সময় লাগে।
সময় মত স্পিচ ডিস্অর্ডারের চিকিৎসা না করা হলে, নিম্নলিখিত সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে: