বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিস‌অর্ডার: ভুল ধারণা এবং বাস্তব

বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিস‌অর্ডার: ভুল ধারণা এবং বাস্তব

Published on

ভুল ধারণা:  বি পি ডির চিকিৎসা সম্ভব নয়।

বাস্তব: ওষুধপত্র থেরাপি এবং মানসিক সহায়তায় বিপিডির চিকিৎসা সম্ভব। রোগের ভয়াবহতার ওপর নির্ভর করে নিয়মিত চিকিৎসায় মাত্র এক বছরের মধ্যে রোগীর স্বাভাবিক জীবন যাপনে লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা যায়।

ভুল ধারণা: সমস্ত আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যক্তি বি পি ডি-তে আক্রান্ত।

বাস্তব:  সমস্ত আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যক্তিই এই রোগে আক্রান্ত নন। নির্দিষ্ট কিছু উপসর্গ না থাকলে তাকে কখনোই ব্যক্তিত্বে বিকারের ছোঁয়া রয়েছে রোগী বলে ঘোষণা করা যাবে না। 

ভুল ধারণা: জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা থেকে নয়, শুধুমাত্র অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করবার জন্যে এঁরা আত্মহননের পথ বেছে নেন।

বাস্তব: যে কোনোও ক্ষেত্রেই আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত কেউ শখ করে নেয় না। এটা মূলত সাহায্যের জন্য ওই ব্যক্তির মরিয়া আর্তনাদ। সেই মুহূর্তে তাদের দুখ, কষ্ট এবং যন্ত্রণা এতটাই প্রবল হয় যে, তারা সেই দুর্বিষহ অবস্থা থেকে মুক্তি পাবার আর কোনও পথ দেখতে পান না।

ভুল ধারণা: এটি আসলে কোনও রোগই নয়। অন্যকে সুকৌশলে নিজের কার্যসিদ্ধির জন্যে পরিচালনা করাই কিছু লোকের স্বভাব।

বাস্তব: ঠিক ডায়াবেটিস বা আর্থ্রারাইটিসের মতো বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিস‌অর্ডারও এক ধরনের অসুখ বা বিকার। অন্যদের কাছে তা অদ্ভুত বা ইচ্ছাকৃত মনে হতে পারে। হীনমন্যতা, না শোনার আতঙ্ক, অনিয়ন্ত্রিত আবেগ, আপনজনকে হারানোর ভয় এবং নিজেকে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে এরা মরিয়া হয়ে এ হেন কাণ্ড ঘটান। আত্মহত্যার মতোই এ-ও এক ধরনের সাহায্যের জন্য আর্তনাদ। 

logo
হোয়াইট সোয়ান ফাউন্ডেশন
bengali.whiteswanfoundation.org