পরীক্ষা জনিত উদ্বেগের শারীরিক লক্ষণ পরীক্ষার আগে সবাই কম বেশী উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা অনুভব করে। সাধারণত উদ্বেগ আমাদের বেশী পরিশ্রমের মাধ্যমে ভালো ফল করার জন্য অনুপ্রেরিত করে। উদ্বেগ যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী হয় এবং পরীক্ষার্থী-কে বিহুল করে তোলে তখন সেই পরীক্ষা জনিত উদ্বেগ বিকারের রূপ ধারণ করে পরীক্ষার ফলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই ধরণের উদ্বেগের লক্ষণগুলি পরবর্তী স্লাইডে বর্ণিত রয়েছে।
পরীক্ষা জনিত উদ্বেগের শারীরিক লক্ষণ পরীক্ষা জনিত উদ্বেগের শারীরিক লক্ষণমাংসপেশীতে খিঁচুনি, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, গা-গোলানো ভাব, বুক ধড়ফড় করা। এরই সঙ্গে মুখ শুকিয়ে যায় এবং খাদ্য অভ্যেস পালটে যায়। ঘন ঘন প্রস্রাব করা আর পেট খারাপ হওয়ার প্রবণতাও বেড়ে যায়।
কগ্নিটিভ আর আচরণগত লক্ষণ কগ্নিটিভ আর আচরণগত লক্ষণছটফট করা আর কোন বিষয়ে মনোযোগ না থাকা। পরিক্ষা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা, পরিক্ষার দিন হতভম্ব হয়ে পড়া এবং কিছু মনে না করতে পারা। নিজের সমালোচনা করা।
আবেগের পরিবর্তন আবেগের পরিবর্তনঘন ঘন মেজাজের হেলদোল, দুশ্চিন্তা, হতাশা ভাব, উৎসাহ হারিয়ে ফেলার মতো লক্ষণ দেখা যায়। সাথে সাথে অবসাদ অনুভব করা, আতঙ্কিত ভাব আর আশাহত ভাব।
সামাজিক ব্যবহারে পরিবর্তন সামাজিক ব্যবহারে পরিবর্তনপরিক্ষা জনিত উদ্বেগে আক্রান্ত ছাত্র বা ছাত্রী বন্ধুদের এবং পরিবারের লোকজনকে এড়িয়ে চলে। বা তাঁদের সাথে খিটখিটে ব্যবহার করে। আবার এটাও দেখা যায় যে পড়াশুনা বা অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বেশী সময় অন্যদের সাথে কাটায়।পরের স্লাইডে জানুন কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিৎ।
পরীক্ষার সময় ভাল থাকা পরীক্ষা সংক্রান্ত উদ্বেগ সাধারণ উদ্বেগের থেকে আলাদা। এটা এক ধরনের সমস্যা যা সাধারণ উদ্বেগের তুলনায় বেশী অস্থিরতা এবং বিহুল মনোভাব সৃষ্টি করে। নিজের প্রস্তুতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরীক্ষার ফল প্রত্যাশা করা, সময়ের যথাযত ব্যবহার, মনকে শান্ত করার ক্রিয়া ইত্যাদির সাহায্যে এই ধরণের উদ্বেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।তবুও যদি দেখা যায় যে সমস্যা কমছে না বরং বেড়ে চলেছে বা অন্য ধরণের উপসর্গ যেমন মানসিক বিপর্যয় দৈনন্দিন জীবনে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তাহলে অবহেলা না করে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা জরুরী এবং যথাযত পেশাদারী সাহায্য চাওয়া উচিৎ।