মানসিক প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের জন্য আর্থিক সহায়তা
অনেক মানুষেরই মানসিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ও ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয়। মানসিক সমস্যা একজন মানুষের জীবনে জীবিকা অর্জনের সব সুযোগ নষ্ট করে দেয়। তার জীবনের অনেকগুলো মূল্যবান বছর নষ্ট করে দেয়। তারপর যখন ওই মানুষটি তার রোগ সারিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চেষ্টা করে তখন তার ভোকেশনাল ট্রেনিং এবং পুর্নবাসনের প্রয়োজন হয়। এই পরিস্থিতিতে তার কর্মসংস্থানগত দক্ষতা বিচার করা হয়। এক্ষেত্রে মানুষের ব্যক্তিগত আগ্রহের উপর নির্ভর করে তাদের কর্মদক্ষতা বিচার করার চেষ্টা চলে। সেই সঙ্গে কর্মদক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ বা তাদের স্বনির্ভর করে তোলার শিক্ষা দেওয়া হয়।
[এই বিষয়ে আরও জানতে পড়ুন 'মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ' সংক্রান্ত নানা তথ্য]।
প্রতিবন্ধী মানুষকে ব্যাঙ্ক থেকে আর্থিক সুবিধাদানের মাধ্যমে তাদের নিজেদের ব্যবসা শুরু করার জন্য কর্নাটক সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে। অত্যন্ত কম সুদে ব্যাঙ্ক থেকে এই ঋণ নেওয়া যায়। এই প্রকল্পটি মূলত মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তি তথা মানসিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
আধারা প্রকল্প
এই পরিকল্পনাটি কর্নাটক সরকারের সবল ও বয়স্ক নাগরিক ক্ষমতায়ন বিভাগের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে চোখে দেখতে পায় না, কানে শুনতে পায় না এমন মানুষ, মানসিক প্রতিবন্ধী, শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তি এবং কুষ্ঠ রোগ থেকে সেরে ওঠা মানুষ।
আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ - এই পরিকল্পনা অনুযায়ী আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ২-৫ লক্ষ টাকা। এবং অত্যন্ত কম সুদে এই টাকা ঋণ হিসেবে নেওয়া যায়।
কারা এই সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পারেন - এক্ষেত্রে আবেদনকারীর যোগ্যতা তাদের বাৎসরিক আয়, প্রতিবন্ধকতার প্রমাণপত্র এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। প্রকল্পটির বিষয়ে আরও জানতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
উদ্যোগিনী প্রকল্প
এই পরিকল্পনাটি শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য নিয়েছে কর্নাটক সরকার।
কারা আবেদন করতে পারেন - যে কোনও ধরনের প্রতিবন্ধী মহিলারা
আর্থিক সহায়তার পরিমাণ - এই পরিকল্পনা অনুসারে বাণিজ্যিক, সমবায় এবং আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যায়। এই ঋণ নেওয়ার জন্য প্রতিবন্ধী মহিলাদের আয়ের ক্ষেত্রে কোনও সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। এছাড়া রাজ্যের নারী বিকাশ বিভাগ প্রতিবন্ধী মহিলাদের এই ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে থাকে। এই আর্থিক সাহায্যের দ্বারা মহিলারা যে কোনও ধরনের লাভজনক ব্যবসা, যেমন - বেকারি, তন্তুবায় শিল্প, জুতো তৈরি ও অন্যান্য ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কার কাছে আবেদন করা যাবে - নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের কাছে এই সাহায্যের জন্য আবেদন করা যাবে। সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে এই বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।