লার্নিং ডিসেবিলিটি: ভুল ধারণা এবং বাস্তব
ভুল ধারণা: লার্নিং ডিসেবিলিটি বা শিক্ষাগ্রহণ সংক্রান্ত বিকারে কোন রকমভেদ নেই।
বাস্তব: লার্নিং ডিসেবিলিটি শুধু এক ধরনের অক্ষমতা নয়। এ এক জটিল সমস্যা সমূহ যার অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ধরনের বিকার আছে যেমন ডিসলেক্সিয়া, ডিসগ্রাফিয়া, ডিসক্যালকুলিয়া এবং ডিসপ্রেক্সিয়া। বিকারের ধরন এবং মান প্রত্যেক শিশুর ক্ষেত্রে আলাদা।
ভুল ধারণা: লার্নিং ডিসেবিলিটিতে আক্রান্ত শিশুরা বুদ্ধিসম্পন্ন হয় না।
বাস্তব: লার্নিং ডিসেবিলিটি বা শিক্ষাগ্রহণ সংক্রান্ত বিকার একটি স্নায়বিক ব্যাধি এবং কম বুদ্ধি বা বুদ্ধির অভাবের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই। বাস্তবে এই সমস্যায় ভোগা শিশুদের বুদ্ধির মান সাধারণ বা তার চেয়ে বেশি হয়।
ভুল ধারণা: সব ধরনের লার্নিং ডিসেবিলিটি প্রাপ্তবয়সে সেরে যায়।
বাস্তব: কিছু ধরন বাদ দিয়ে লার্নিং ডিসেবিলিটি কোন বয়েসেই সারে না। তবে এর মানে এই নয় যে এই সমস্যার জন্য শিশু জীবনে সফল হতে পারবে না। সঠিক ভাবে সহযোগিতা করলে এই ব্যাধির উপসর্গগুলোকে পাশ কাটিয়ে নিজের বিশিষ্টতার ভিত্তিতে শিশু জীবনে উন্নতি করতে পারবে।
ভুল ধারণা: লার্নিং ডিসেবিলিটিতে আক্রান্ত শিশুরা কুঁড়ে হয়।
বাস্তব: লার্নিং ডিসেবিলিটিতে আক্রান্ত শিশুদের অন্যদের তুলনায় বেশি পরিশ্রম করতে হয় অথচ তাঁরা সমপরিমাণ ফলাফল পায় না। যার জন্য এরা নিরাশ হয়ে পড়ে এবং আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় যে এরা কুঁড়ে এবং পরিশ্রম করতে চায় না।
ভুল ধারণা: যে শিশুর লার্নিং ডিসেবিলিটি আছে তাঁর এট্যানশন ডেফিসিট হাইপারএক্টিভিটি ডিসঅর্ডার (এ ডি এইচ ডি) হয়।
বাস্তব: এটা সত্যি যে লার্নিং ডিসেবিলিটিতে ভোগা এক তৃতীয়াংশ শিশু এ ডি এইচ ডি তে-ও আক্রান্ত।