কীভাবে জানবেন আপনার বা আপনার প্রিয়জনের মানসিক অসুস্থতার বিষয়টি?

Published on

বিশেষজ্ঞদের মতে মানসিক অসুস্থতার কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ দেখা যায়-

১. দৈনন্দিন কাজকর্ম, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে ফেলা। তার পরিবর্তে নিজের সঙ্গেই বেশি সময় কাটানোর প্রবণতা।

২. বেশ কিছুদিন ধরে হঠাৎ করে কাজকর্ম করতে অনীহা, পড়াশোনা বা গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে ফাঁকি দিতে থাকা। প্রাত্যহিক কাজকর্মে মনোযোগের অভাব। আগে যেসব কাজ করতে ভালো লাগত বা উপভোগ করা যেত সেগুলোর প্রতি এখন সম্পূর্ণ আগ্রহ হারিয়ে ফেলা।

৩. অযৌক্তিক বিশ্বাস ও চিন্তাকে প্রাধান্য দেওয়া (যেমন- কেউ হয়তো আমার মাথায় কিছু ছুড়ে মারতে চাইছে এবং আমার মনের চিন্তাভাবনার কথা এখন তারা সবটাই বুঝে ফেলেছে বা জেনে ফেলেছে)।

৪. আর্তনাদ শুরু করা, অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়া বা আত্মহত্যার চিন্তা করা।

৫. কোনও সঙ্গত কারণ ছাড়াই ব্যথা, বেদনার বোধ বারবার অনুভূত হওয়া।

৬. হঠাৎ করে কোনও বস্তু এবং জায়গার প্রতি মনে মনে ভয় পাওয়া।

৭. মনে চরম উদ্বেগ বা বিদ্বেষ জন্মানো

৮. গুরুতর মেজাজ-মর্জির বদল ঘটা

৯. আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দেওয়া

১০. খিদে, ঘুম এবং নিজের যত্নের ব্যাপারে চরম পরিবর্তন ঘটা।

১১. আবেগ বা অনুভূতিগুলো ভোঁতা হয়ে যাওয়া; যথাযথ অনুভূতি প্রকাশ করতে না পারা।

গভীর মানসিক চাপ জন্মালে আমাদের মধ্যে এইসব আচরণের একটা বা একাধিক বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়। যদি কোনও মানুষের ক্ষেত্রে একমাস বা তার বেশি সময় ধরে এসব আচরণ দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে যে সে মানসিকভাবে অসুস্থ। তখন তার সঙ্গে চারপাশের লোকজনের খুব সহানুভূতি সহকারে কথা বলা এবং তাকে সাহায্য করা জরুরি।

মানসিক এবং মনোরোগজনিত সমস্যার নানা আঙ্গিক রয়েছে। সেই সঙ্গে উপরের লক্ষণগুলো যে সব সমস্যার ক্ষেত্রেই সত্যি হবে, তেমন নয়। প্রতিটি মানুষের মানসিক অসুস্থতার একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং তাদের রোগের লক্ষণের ধরন, গভীরতা এবং স্থায়িত্বের ক্ষেত্রেও পার্থক্য লক্ষ করা যায়।

logo
হোয়াইট সোয়ান ফাউন্ডেশন
bengali.whiteswanfoundation.org