আত্মবিশ্বাস থাকা খুবই জরুরি বিষয়
ওষুধ খাওয়া বন্ধ করার এক বছর পরে আমি কাজে যোগ দিয়েছিলাম। দীর্ঘ ছুটির পরে কাজে ফিরে আসাটা প্রথম প্রথম আমার কাছে বেশ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমি ভাবতাম কীভাবে আমি আমার কাজ সামলাব? কীভাবে কাজের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেব? কীভাবে আমি অন্যদের করা প্রশ্নের উত্তর দেব? সৌভাগ্যবশত, এইসময়ে আমি এমন একটা নতুন শহরে গিয়ে জীবন শুরু করি, যেখানে কেউ আমাকে চিনত না এবং আমার মানসিক অসুস্থতার বিষয়ে কিছু জানত না।
আমি ব্লগে নিজের অসুস্থতার কথা লিখেছিলাম এবং তা পড়ে আমার নতুন অফিসের কর্তৃপক্ষ আমাকে চাকরি দেয়। তাই তাদের নিজের সম্পর্কে নতুন করে কোন পরিচয় আমাকে দিতে হয়নি। যেহেতু আমি অসুস্থ হয়েছিলাম সেহেতু সহকর্মীরা আমার পরিচর্যাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করত। অনেক সময় আমাকে তারা নানাভাবে সাহায্য করত। আমার অফিসের কর্তৃপক্ষও দেখভাল করে আমাকে সাহায্য করত। কাজের পরিবেশ ছিল খুবই খোলামেলা ও শিথিল। সেখানে বাড়িতে বসে অফিসের কাজ করার সুযোগও ছিল। সহকর্মীরা একে অপরের প্রয়োজন মতো কাজ ভাগাভাগি করে নিত। যদি কেউ কোনও কাজ শেষ করতে না পারত তাহলে অন্যজন সেই কাজ করে দিত। অবশ্য এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা জরুরি ছিল। কিন্তু আমরা সবসময়ে মনে রাখতাম যে আমরা প্রত্যেকেই মানুষ।
নিজের প্রতি বিশ্বাস থাকাটা খুবই জরুরি। আর সেই সঙ্গে নিজের সীমাবদ্ধতাগুলোকে জানাও একান্ত প্রয়োজন। নিজের জীবনের লক্ষ্য স্থির করার ক্ষেত্রে বাস্তববাদী হওয়া যেমন দরকার, তেমন নিজের গণ্ডি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকাও জরুরি।
''মানসিক অসুস্থতার জন্য নিজের পছন্দের কাজ থেকে সরে আসা বা জীবনে বাঁচতে না চাওয়া কখনোই উচিত নয়।''
লেখাটি লিখেছেন শৈলজা বিশ্বনাথ, যিনি একজন লেখক, সম্পাদক এবং ব্লগ রচয়িতা।
এই পর্বের লেখাগুলো একজন মানুষের মানসিক অসুস্থতা কাটিয়ে কাজের জগতে ফিরে আসার ঘটনা নিয়ে লেখা হয়েছে।
(লেখাটি ইংরাজি থেকে অনুবাদ করা হয়েছে)